জন্মভূমি ডেস্ক : বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)-এর সভাপতি মো. সুমন হাওলাদার অভিযোগ করেছেন, সিন্ডিকেটের মাধ্যমে খামারিদের কাছ থেকে গত আড়াই মাসে প্রায় ৭২০ কোটি টাকা লুটপাট করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ) পক্ষ থেকে এমন অভিযোগ করা হয়েছে।
দেশের বাজারে কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই মুরগির বাচ্চার দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। গত আড়াই মাস ধরে নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি টাকায় মুরগির বাচ্চা কিনতে হচ্ছে খামারিদের। এতে দেশের পোল্ট্রি খাতে বড় ধরনের সংকট সৃষ্টি হয়েছে এবং খামারিরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। তিনি জানান, ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত একটি মুরগির বাচ্চার দাম ছিল ৩০-৩৫ টাকা। কিন্তু ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে দাম বেড়ে ৬০-১০০ টাকায় পৌঁছায়। গত ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত টানা ৮০ দিন এই অস্বাভাবিক দাম বহাল ছিল। প্রতিদিন দেশে ৩০ লাখ মুরগির বাচ্চা উৎপাদিত হয়। গড়ে প্রতিটি বাচ্চায় ৩০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হওয়ায় প্রতিদিন প্রায় ৯ কোটি টাকা অতিরিক্ত মুনাফা আদায় করা হয়েছে। এই সময়ে ৭২০ কোটি টাকা খামারিদের পকেট থেকে হাতিয়ে নিয়েছে সিন্ডিকেট। মুরগির বাচ্চার অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির জন্য দেশের শীর্ষ পোল্ট্রি ফিড এবং হ্যাচারি কোম্পানিগুলোকেই দায়ী করেছেন তিনি। নাহার অ্যাগ্রো, কাজী ফার্মস, প্যারাগন পোল্ট্রি, সিপি বাংলাদেশসহ আরও কয়েকটি কোম্পানি বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে প্রান্তিক খামারিরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। অনেক খামারি তাদের ব্যবসা বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছেন, যা প্রায় ৫০ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হুমকির মুখে ফেলেছে।
বাজার স্বাভাবিক করতে এবং সিন্ডিকেট ভাঙতে সরকারকে বড় কর্পোরেট কোম্পানিগুলোর ওপর কঠোর নজরদারি চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি।
আড়াই মাসে পোল্ট্রিখাত থেকে ৭২০ কোটি টাকা লুট!
Leave a comment