
যশোর অফিস : আদালতের নিষেধাজ্ঞা আদেশ অমান্য করে যশোর সদরের রাজারহাট শ্মশানের দখলদারিত্ব বজায় রেখেছেন রমেন পাল ও তার লোকজন। যশোর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদরের সভাপতি ও সম্পাদকের ইন্দনে তারা এ দখলদারিত্ব বজায় রেখেছেন। বুধবার প্রেসক্লাব যশোরে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন শ্মশান কমিটির নেতৃবৃন্দ।
এদিকে শ্মশান কমিটির করা মামলার নিষেধাজ্ঞা আদেশের বিরুদ্ধে আপিল ও যাবতীয় কার্মক্রম স্থগিত রাখার আবেদন করেছেন বিবাদী পক্ষ। জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচারক শেখ নাজমুল আলম আপিল ও স্থগিত আবেদন শুনানির জন্য আগামী ১৪ জুন দিন ধার্য করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এড. নব কুমার কুন্ডু।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সিনিয়র সহসভাপতি পলাশ বিশ্বাস বলেন, রাজারহাট শ্মশানটি পরিচালিত হয় প্রতি তিন বছর পর-পর সাধারণ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে একটি কার্যকরি কমিটি গঠনের মাধ্যমে। ২০২১ সালের ২৪ ডিম্বের সাধারণ সভার মাধ্যমে রতন কুমার পালকে সভাপতি ও গৌরচন্দ্র সাহাকে সাধারণ সম্পাদক করে ২১ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। রমেন পাল বিভিন্ন ষড়যন্ত্র শুরু করেন। একপর্যায়ে তিনি পূজা উদযাপন পরিষদের সহযোগীতায় বিতর্কিত ব্যক্তিদের নিয়ে রমেন পাল নিজে সভাপতি হয়ে আর একটি কমিটি গঠন করেন। এরপর থেকে রমেন পাল ও তার লোকজন শ্মশানের কাজে বাধা প্রদান করতে থাকেন। এরই ধারাবাহিকতা অব্যহত থাকায় সভাপতি রমেন পালেন নেতৃতাধীন কমিটর সদস্যদের বিবাদী করে সদর সহকারী জজ আদালতে মামলা করা হয়। এ মামলার শুনানি শেষে গত ১১ এপ্রিল রমেন পালের কমিটির কার্যক্রমের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে আদেশ দেন বিচারক।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, শ্মশান কমিটির সভাপতি রতন কুমার পাল, প্রভাষ কুমার পাল, কৃষ্ণ সাহা, রাজ কুমার অধিকারী, রবিন অধিকারী, কৃষ্ণ দাস, গনেশ বিশ্বাস, বিপুল সররকার, বিশ্বজিৎ সরকার প্রমুখ।

