
ক্রীড়া প্রতিবেদক : এশিয়া কাপকে সামনে রেখে শ্রীলঙ্কায় ওয়ানডে সিরিজে মুখোমুখি হয়েছিল পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম দুইটি জিতে নিয়ে ইতিমধ্যেই সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছিল বাবর আজমের দল। আর গতকাল তৃতীয়টিতেও জয় পেয়েছে তারাই। ফলে আফগানদের হোয়াইট ওয়াশ করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তারা। এছাড়া এমন জয়ে অস্ট্রেলিয়াকে টপকে ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বরেও ওঠে এসেছে পাকিস্তান।
কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে কাল তৃতীয় ওয়ানডেতে ছিল বোলিং বান্ধব উইকেট। ফলে আগে ব্যাট করতে নেমে ১৩ ওভারের মধ্যেই দুই উইকেট হারিয় ফেলে পাকিস্তান। দুই ওপেনারকে হারানো বাবর আজমের দলের এরপর প্রথম ৩০ ওভারে সগ্রহে যোগ হয় মাত্র ১০৩ রান। তবে পরের ২০ ওভারে অবশ্য তা পুষিয়ে নিয়েছেন অধিনায়ক বাবর এবং সতীর্থ মোহাম্মদ রিজওয়ান।
এ দুজনের জুটিতেই কাল বিপর্যয় এড়াতে পেরেছে পাকিস্তান। দুজনে মিলে গড়েন ১১০ বলে ১৪৫ রানের জুটি। এরপর ৮৬ বলে ৬০ রান করে বাবর রশিদ খানের বলে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরলে আবারও ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে পাকিস্তান। ২ উইকেটে ১৬২ থেকে ৬ উইকেটে ১৮৯ রানে পরিণত হয় স্কোর। আউট হয়ে যান ৭৯ বলে ৬৭ রান করা রিজওয়ানও।
তবে এরপরও পাকিস্তান লোড়াই করার মত পুঁজি পায় আগা সালমান এবং মোহাম্মদ নও্যাজের ইনিংসে ভর করে। ব্যাট হাতে মাঠে নেমে দুজনই কদ্রুত রান তুলেছেন। সালমানের ৩১ বলে ৩৮ এবং নওয়াজের ২৫ বলে ৩০ রানে ভর করে শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৮ উইকেট হারিয়ে ২৬৮।
এদিকে রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি আফগানদের। আগের ম্যাচের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিয়ান রহমানুল্লাহ গুরবাজ এদিন ফিরে গেছেন মাত্র ৫ রান করেই। এরপর তিনে নামা ইব্রাহিম জাদরানও ১১ বলে খেলে ফিরেছেন শূন্য রান করেই। ফলে পাওয়ারপ্লেতে দুই উইকেট হারানো আফগানদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩০ রান।
এরপর নিয়মিত ভাবেই উইকেট হারিয়েছে আফগানরা। ওপেনার রিয়াজ হাসান স্থির হয়েও পারেননি ইনিংস বড় করতে, ফিরেছেন ৩৪ রান করেই। একই অবস্থা হয়েছে শহিদুল্লাহর্ব, তিনিও ফিরেছেন ৩৭ রানে। কিন্তু তবুও যে আফগানিস্তানের স্কোর দুউশ পেরিয়েছে তা স্পিনার মুজিব উর রেহমানের কল্যাণে।
দল ব্যাটিংয়ের বিপর্যয়ে পড়ার পর মাঠে নেমে ঝোড় ইনিংস খেলেছেন তিনি। করেছেন ৩৭ বলে ৬৪ রান, মেরেছেন সমান ৫টি করে চার এবং ছয়। তবে শেষ পর্যন্ত দলকে জয়ের বন্দরে নিতে পারেননি তিনিও। শাহিন আফ্রিদির বলে হিট আউট হয়ে ফিরতে হয় তাকে। এরপর আফগানদের ইনিংসও থামে ২০৯ রানেই। ফলে ৫৯ রানের জপ্য পায় পাকিস্তান।
এদিকে এমন জয়ে ওয়ানডে র্যাঙিংয়ে আবারও শীর্ষে ওঠে এসেছে পাকিস্তান। এর আগে গত মে মাসেও একবার শির্ষে ওঠেছিল বাবর আজমের দল। তবে সেবার তা স্থায়ী হয়েছিল মাত্র দুই দিন।