জন্মভূমি ডেস্ক : টেকনাফ সীমান্তসংলগ্ন মিয়ানমারের ভেতর থেকে গুলি আর মর্টার শেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকায় শনিবার সকাল থেকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ভারী গোলাগুলি ও মর্টার শেলের বিকট আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। এর মধ্যেই বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্ত এলাকায় পাওয়া গেছে দুটি অবিস্ফোরিত রকেট লঞ্চারের গোলা (আরপিজি)। গ্রামের ভেতরে একটি বাড়িতে গুলিও এসে পড়েছে।
রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৭টা থেকে আবারও গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। এর আগে শনিবার সকাল ১১টা থেকে সারাদিন টেকনাফ সীমান্তের ওপারে কোনো গোলাগুলির শব্দ শোনা না গেলেও ভোররাত থেকে সকাল পর্যন্ত ওই এলাকা থেকে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। তবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ওই এলাকা থেকে গোলাগুলির শব্দ শোনা গিয়েছিল।
উনছিপ্রাং সীমান্তের স্থানীয়দের দাবি, আরাকান আর্মি ও অন্যান্য বিদ্রোহীরা টেকনাফ অংশে মিয়ানমারের শহর বলিবাজার ও কুমিরখালী ঘাঁটি দখল নিতে এই হামলা চলছে। কুমিরখালী ঘাঁট বড় হাওয়ায় বিদ্রোহীরা সহজে দখল নিতে পারছে না।
টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারি বলেন, রোববার সকাল ৭টা থেকে লম্বাবিল, উনচিপ্রাং, কানজর পাড়া সীমান্তের নাফ নদীর ওপারে গুলি, মর্টার শেল বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে। সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের কুমিরখালী ও বলিবাজার ঘাঁটি দখল নিতে এই সংঘর্ষ। সীমান্তের এপারে লম্বাবিল ও উনচিপ্রাং এলাকায় কয়েকটি গুলি এসে পড়েছে। সীমান্তের কাছাকাছি যারা বসবাস করে তাদের নিরাপদস্থানে আসার জন্য বলা হয়েছে।
উনছিপ্রাং এলাকার বাসিন্দা আব্দুল খালেক বলেন, সকাল থেকে গোলাগুলির শব্দ শুনতে পাচ্ছি। এতে আমাদের এলাকার মানুষ অনেক আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। গোলাগুলির শব্দ মূলত মিয়ানমারের বলিবাজার থেকে শোনা যাচ্ছে।