
জন্মভূমি রিপোর্ট : খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল বলেছেন, আমি আপনাদেরই সন্তান, আজীবন আপনাদের সেবা করে যেতে চাই। বিগত দিনে আমি ও আমার পরিবার সব সময় আপনাদের পাশে ছিলাম। অতিমারী করোনার সময় আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে প্রায় ৫০ হাজার মানুষকে সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও যে কোন প্রয়োজনে আমরা আপনাদের পাশে থাকবো। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই সরকার গঠন করেছে তখন দেশের উন্নয়নের কথা ভেবেছে। কারণ আওয়ামী লীগ দেশের উন্নয়নের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। আজ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের উন্নয়নে যেসব পরিকল্পনা নিয়েছেন তা বাস্তবায়িত হচ্ছে। উন্নয়নের এ ধারা ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে। তিনি আরো বলেন, খুলনার উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুব আন্তরিক। তিনি খুলনার উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। খুলনাকে তিলোত্তমা নগরী গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব ধরণের সহায়তা করে যাচ্ছেন। সেজন্যই আবারও নৌকায় ভোট দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ৫ম বারের মতো প্রধানমন্ত্রী করতে হবে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় নগরীর ১৬নং ওয়ার্ডের হাজী ফয়েজউদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নির্বাচন পরিচালনা কমিটি আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, মিজানুর রহমান মিজান, বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র শেখ জালাল উদ্দিন রুবেল, সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল এমপির পুত্র শেখ ফারজান নাসের, শেখ মো. আনোয়ার হোসেন, শেখ ফারুক হাসান হিটলু, সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাস, তসলিম আহমেদ আশা, শেখ শাহজালাল হোসেন সুজন ও কাউন্সিলর রোজী ইসলাম নদী। সভাপতিত্ব করেন ১৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক শেখ আবিদ উল্লাহ। ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব কাউন্সিলর শেখ হাসান ইফতেখার চালুর পরিচালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন কাজী মজিবুল হক, জহিরুল আল রিয়াদ, মো. আশরাফ আলী হাওলাদার শিপন, লুৎফুন্নাহার নাহার লিলি, মো. মনির হোসেন। এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন মো. তরিকুল আলম খান, কাজী জাহিদ হোসেন, ইউসুফ আলী খান, সফিকুর রহমান পলাশ, এম এ নাসিম, এ্যাড. এ কে এম শাহজাহান কচি, অধ্যা. এ বি এম আদেল মুকুল, এস এম আসাদুজ্জামান, শেখ আকতার হোসেন সন্টু, শেখ শরিফ উল্লাহ, অধ্যক্ষ নুরুজ্জামান, কাজী রবিউল ইসলাম, শেখ আকতার হোসেন, জান্নাতুল ফেরদৌস পিকুল, মো. রুহুল আমিন, মঈন খান, শেখ আরিফ উল্লাহ, শেখ হাসান হাসান বখতিয়ার বাকু, রফিকুল ইসলাম খান মুকুল, শেখ ইজাবুল হক ইজু, মো. জাফর ইকবাল, তপন বালা, মো. রফিকুল ইসলাম, শেখ শরিফুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, মিরাজুল ইসলামসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা।
এর আগে তিনি সকালে ৩০নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় নৌকা প্রতীকের গণসংযোগ করেন। এসময়ে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডি বাবুল রানা, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ, সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল এমপির পুত্র শেখ ফারজান নাসের, জোবায়ের আহমেদ খান জবা, কাজী শামীম আহসান, মো. মফিদুল ইসলাম টুটুল, এ্যাড. সরদার আনিছুর রহমান পপলু, অ্যাডভোকেট মো. সাইফুল ইসলাম, মো. তরিকুল আলম খান, কাজী জাহিদ হোসেন, অ্যাডভোকেট ফারুক হোসেন শেখ, কাউন্সিলর মোজাফফর রশিদী রেজা, মো. শিহাব উদ্দিন প্রমুখ।
সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল মরিয়ম জামে মসজিদে জুম্মার নামাজ আদায় করেন এবং কমিটির নেতৃবৃন্দ ও মুসুল্লিদের সাথে মতবিনিময় করেন। এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র শেখ জালাল উদ্দিন রুবেল, সেখ সালাউদ্দিন জুয়েলের পুত্র শেখ ফারজান নাসের, হাফেজ মোঃ শামীম, সফিকুর রহমান পলাশ, কাউন্সিলর জিয়াউল আহসান টিটু, আজম খান প্রমুখ। জুম্মার নামাজ শেষে তিনি টুটপাড়া কবরস্থান জিয়ারত করেন।