জন্মভূমি রিপোর্ট : চার বছর পর আযম খান সরকারি কমার্স কলেজ প্রাক্তন ছাত্র সমিতির পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান জাঁকজমকভাবে আয়োজন করা হচ্ছে। আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে পতাকা উত্তোলন, বর্ণাঢ্য র্যালি, স্মৃতিচারণ, প্রাক্তন গুণী শিক্ষার্থীদের সম্মাননা প্রদান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, র্যাফেল ড্রসহ নানা আয়োজন। অনুষ্ঠানে ভারতীয় সঙ্গীত শিল্পি ছাড়াও বাংলাদেশের সেরা ‘দলছুট’ ও ‘ফিডব্যাক’ ব্যান্ড সঙ্গীত পরিবেশন করবেন।
এ উপলক্ষ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার খুলনা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রাক্তন ছাত্র সমিতি আয়োজিত পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান-২০২৪ উদযাপন কমিটির আহবায়ক এ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম জানান, এ অনুষ্ঠানে ৫০ লাখ টাকার বাজেট করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে এক হাজার আটশ’ প্রাক্তন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে বলে আশাকরা হচ্ছে।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বাণিজ্য শাখার বিশেষায়িত কলেজ হিসেবে সাত দশকের অধিক কাল ধরে ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক রূপে আযম খান সরকারি কমার্স কলেজ সুদূরপ্রসারি ভূমিকা পালন করে চলেছে। খুলনার কতিপয় বিদ্যুৎসাহী ব্যক্তির মহানুভবতা ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় যুবকদের উচ্চশিক্ষা লাভের সুযোগ দানের ব্রত নিয়ে একটি নৈশ কমার্স কলেজ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগের ফলশ্রুতিতে ১৯৫৩ সালের ১৪ আগস্ট খুলনা কমার্স কলেজ নামে বর্তমাদন কলেজটি আত্মপ্রকাশ করে। ১৯৬০ সালের গোড়ার দিক মডেল স্কুলের দক্ষিণ কোণে ও শাহীন হোটেলের পশ্চিমে বর্তমান ঠিকানায় ভূমি অধিগ্রহণপূর্বক কলেজটি স্থানান্তরিত করা হয়। ১৯৬১ সালে একাদশ শ্রেণিতে দিবা বিভাগ খোলা হয় এবং ওই বছরই গভর্নর লেফটেন্ট জেনারেল আযম খান কলেজ পরিদর্শনে এসে এক নম্বর ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করে এক লক্ষ টাকা অনুদান ঘোষণা করেন। ধীরে ধীরে কলেজটির সুনাম সারাদেশে এমনকি বহিবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। আজও কলেজটির গৌরবের ধারা অক্ষুন্ন রয়েছে। বর্তমানে কলেজটিতে হিসাববিজ্ঞান, ব্যবস্থাপনা, ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং এবং মার্কেটিং এই চারটি বিষয়ে অনার্স এবং মাস্টার্স কোর্স চালু আছে। তাছাড়া ডিগ্রি পাস ও এইচএসসি বাণিজ্য শাখা চালু আছে। কলেজে দশ হাজারের অধিক শিক্ষার্থী রয়েছে।
দীর্ঘবিরতির পর পুনর্মিলনীর অনিন্দ্য আয়োজন সংশ্লিষ্ট সকলের মাঝে প্রাণচাঞ্চল্য ও উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে এবং এটি স্মরণকালের সর্ববৃহৎ মিলনমেলায় পরিণত করবে। অংশগ্রহণকারীরা ফেলে আসা সোনালী স্মৃতির ভেলায় ভেসে ফিরে যাবে সুদুর অতীতের স্বপ্নলোকে। প্রিয় সহপাঠীর সান্নিধ্যে লাভ করবে অনাবিল আনন্দ। তৈরি হবে বর্তমানের সাথে প্রাক্তনের সেতুবন্ধন। মেলাকে অবিস্মরণীয় করার অংশ হিসেবে ভারত ও বাংলাদেশের বরেণ্য শিল্পীদের আগমন ও পরিবেশনা স্থানীয় শিল্পীদের ও অংশীজনদের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড আয়োজনটিকে অনন্য মাত্রা দান করবে-যেটি উপস্থিত সকলকে চিত্তবান, পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, অসম্প্রদায়িক এবং মানবিক মানুষ হয়ে উঠতে ভূমিকা পালন করবে।
সংবাদ সম্মেলনে খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম নজরুল ইসলাম, পুনর্মিলনী কমিটির সমন্বয়ক অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, প্রাক্তন ছাত্র সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ সেলিনা বুলবুল ও সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন বাচ্চুসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। #