
খানজাহান আলী থানা প্রতিনিধি : দেশব্যাপী আলোচিত রহিমা কান্ডের সাথে জড়িতদের বিচারের কাঠগড়ায় দাড়াতে হবে। আলোড়ন সৃষ্টি করা এই মামলার তদন্তে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করা হবে। সিআইডির তদন্তে উঠে আসা নতুন কিছু তথ্য যাচাই-বাছাই করে তদন্ত এখন শেষ পর্যায়ে রয়েছে। গতকাল রবিবার সকালে খুলনা মেট্ট্রো এন্ড জেলার সিআইডি’র বিশেষ পুলিশ সুপার শম্পা ইয়াসমীন আলোচিত রহিমা বেগম অপহরণ মামলার ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, রহিমা অপহরণ মামলাটি ইতোমধ্যে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তাদের তদন্ত রির্পোট আদালতে জমা দিয়েছে। বাদী পক্ষ না রাজি দেওয়ায় বিজ্ঞ আদালত মামলাটি সিআইডির কাছে হস্তান্তর করেছেন। তদন্তে নতুন কিছু তথ্য উঠে আসায় এ সকল তথ্য যাচাই-বাছাইয়ে বাদী, বিবাদী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ এলাকার সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলার জন্য আমরা পুনরায় ঘটনাস্থল পরিদর্শনে করছি। এ সময় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশ পরিদর্শক রবিউল ইসলাম, এস আই শেখ জুবায়েরসহ সঙ্গীয় ফোর্স ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিল।
গতকাল রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার পর সিআইডি’র বিশেষ পুলিশ সুপার শম্পা ইয়াসমীন ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি দীর্ঘ প্রায় এক ঘন্টার উপরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পারিপার্শিক অবস্থাসহ মামলার বাদী আদুরী আক্তার, তার মা ভিকটিম রহিমা বেগম, বিবাদী, মহিউদ্দিন, গোলাম কিবরিয়া, স্থানীয় মেম্বর মো. মামুন শেখসহ পার্শবর্তি প্রতিবেশীদের সাথে খোলামেলা কথা বলেন। সিআইডি’র বিশেষ পুলিশ সুপারের কোন প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে চুপ ছিলেন ভিকটিম রহিমা বেগম।
এ সময় রহিমা বেগমের মেয়ে মামলার বাদী আদুরী আক্তার বলেন, ঘটনার দিন রাতে আমাকে ফোন দিয়ে বলে কিবরিয়া তোমার মাকে ধরে নিয়ে গেছে। খবর শুনে আমরা ঘটনাস্থলে এসে আমার মায়ের জুতা এবং ওড়না পড়ে থাকতে দেখি। পরে থানায় এই মর্মে আমরা একটি অভিযোগ করি। রহিমা বেগমসহ তার পরিবারের বিভিন্ন অপকর্মের কথা তুলে ধরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত প্রতিবেশী শরিফুল ইসলাম নামের এক যুবক বলে জমির সীমানা সংক্রান্ত বিরোধে আমার বয়স যখন ১০ বছর তখন আমাকে এবং প্রতিবেশী যারা আমার পক্ষে কথা বলেছে তাদের নামে মিথ্যা ধর্ষণ মামলা দেয় রহিমাগং। যোগিপোল ইউনিয়নের স্থানীয় ৩নং ওয়ার্ড মেম্বর মো. মামুন শেখ বলেন, ধারাবাহিক মিথ্যা সাজানো মামলার অংশ হিসাবে কথিত রহিমা অপহরণ নাটক মঞ্চস্থ করে মরিয়ম মান্নান এই মামলাটি সাজিয়েছে। প্রভাবশালী একটি মহলের সহযোগিতায় মরিয়ম আক্তার ওরফে মরিয়ম মান্নান ঢাকায় বসে সকল ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা করে গ্রামের মানুষদেরকে অযাথা হয়রানি করছে। তিনি বলেন এই পরিবারের অন্যায়ের বিরুদ্ধে কেহ কথা বল্লে তাদেরকে মামলার হুমকি দেওয়ায় ভয়ে কেহ কথা বলতে পারেনা।
এ বিষয়ে সিআইডি’র তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক রবিউল ইসলাম জানায়, আলোচিত এই মামলার তদন্ত কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে। চলতি মাসের মধ্যে এমই ঢাকায় পাঠানো হবে অনুমোদন হলে চুড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য বছর ২৭ আগস্ট খুলনার দৌলতপুর থানাধিন মহেশ্বরপাশা বনিকপাড়া (খানাবাড়ী) নিজ বাড়ী থেকে রহিমা বেগম রহস্যজনক নিখোঁজ হয়। পরদিন ২৮ আগস্ট রহিমা বেগমের কন্যা আদুরী আক্তার বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় অপরহণের একটি মামলা করে।