ডেস্ক রিপোর্ট : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ সমর্থক হিসেবে পরিচিত শিল্পী ও সাংবাদিকদের নিয়ে তৈরি হয় ‘আলো আসবেই’ নামের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ!
যেই গ্রুপের উদ্দেশ্যে ছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া। আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সেই গ্রুপের একাধিক কথোপকথনের স্ক্রিনশট ফাঁস হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়।
যেখানে দেখা যায়, একদল শিল্পী শিক্ষার্থীদের দমাতে বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা বলছেন। পাশাপাশি তারা পতিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ নিয়েছেন। সেই দলেরই একজন ছিলেন অভিনেত্রী সোহানা সাবা।
‘আলো আসবেই’ গ্রুপের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। এই ঘটনায় চরম সমালোচনার মুখেও পড়েছিলেন এই অভিনেত্রী। তবে জুলাই-আগস্টের সেই উত্তাল সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও সেই গ্রুপ নিয়ে বেশ বিপাকেই আছেন এই অভিনেত্রেী।
সম্প্রতি সোহানা সাবা জানালেন, ‘আলো আসবেই’ সেই গ্রুপ থেকে অটো ইনভাইটেশন যাচ্ছে। যা কোনোভাবেই বন্ধ করতে পারছেন না তিনি। ফলে নতুন করে আবারও বিপাকে পড়েছেন।
বুধবার সন্ধ্যায় এক ভিডিও বার্তা সোহানা সাবা বলেন, ‘আমার ফেসবুক থেকে অনেকের কাছে ইনভাইটেশন যাচ্ছে যে, আলো আসবেই গ্রুপের জন্য। এটা কীভাবে যাচ্ছে, আমি জানি না। আমাকে সাহায্য করুন, প্রথমে জানান আমি কীভাবে গ্রুপটা বন্ধ করতে পারি। ইনভাইটেশন যে যাচ্ছে, এটা আমি দিচ্ছি না, কিন্তু এটা যাচ্ছে।’
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে লড়াই চালানোর লক্ষ্যে তৎকালীন তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত এবং সংসদ সদস্য ফেরদৌসের নেতৃত্বে ‘আলো আসবেই’ নামের ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খোলা হয়, যেখানে আওয়ামীপন্থি শিল্পী ও সাংবাদিকেরা যুক্ত ছিলেন।
গ্রুপে ছিলেন- সোহানা সাবা, জ্যোতিকা জ্যোতি, অরুণা বিশ্বাস, ফেরদৌস ছাড়াও ছিলেন রিয়াজ আহমেদ, সুবর্ণা মুস্তাফা, আজিজুল হাকিম, স্বাগতা, শমী কায়সারসহ অনেকেই।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত