আশাশুনি প্রতিনিধি : আশাশুনির সরাফপুরে মাহফিলে অতিথি করা নিয়ে সংঘর্ষে ৩ জন আহত হয়েছে। ন্যাক্কারজনক ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সরাফপুর ব্রীজের কাছে চৌরাস্তা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সরাফপুর ব্রীজ সংলগ্ন চৌরাস্তা মোড়ে মাহফিলের আয়োজন করেছিল স্থানীয় যুব সমাজ। মাহফিলে অতিথি করা নিয়ে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হলে পরবর্তীতে নিস্পত্তি হয়ে মাহফিল সম্পন্ন হয়। সরাফপুর গ্রামে হুমায়ুন কবির সরদারের ছেলে নেশাগ্রস্ত আরিফিন শরাফি শান্ত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বকুল সরদারের ছেলে তারেকের সাথে অহেতুক প্রশ্নতুলে কথা কাটকাটি করে নানা আস্ফালন করে চলে যায়। পরবর্তীতে শান্ত ও বৈদ্য নাথ দাশের ছেলে সাগর বহিরাগত আরও দু’জনকে সাথে নিয়ে ব্রীজের ব্যাংদহা পারে তারেককে পেয়ে আক্রমন করে। তারেক প্রাণভয়ে দ্রুত দৌড়ে সরাফপুর পারে পৌছলে তারাও তার পিছু নিয়ে সেখানে পৌছে মারতে থাকে। এসময় পাশের লোকজন খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে পৌছে ঠেকাতে গেলে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। সংঘর্ষে শান্ত, সাগর ও তারেক আহত হয়। স্থানীয়রা আহতদেরকে ভ্যানযোগে ব্যাংদহা বাজারে প্রাথমিক চিকিৎসার পর শান্ত ও সাগরকে এ্যাম্বুলেন্সযোগে সাতক্ষীরা শহরে হাসপাতালে নেয়া হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন বলেন, শান্ত আমার চাচাত ভাইপো। সে উশৃঙ্খল, অনেকবার সংঘর্ষে জড়িয়েছে। পারিবারিকভাবে সংশোধনের চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি। মঙ্গলবার শান্তরা তারেকের উপর আক্রমন করে এবং স্থানীয়রা ঠেকাতে গেলে সংঘর্ষের সৃষ্টি ও গণপিটুনি ঘটনা ঘটে বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের থেকে জেনেছি।
স্থানীয় মোস্তাফিজুর রহমান জানান, মাহফিল বন্ধ করার চেষ্টা করেছিল শান্ত। তারেকের সাথে এনিয়ে কথা কাটাকাটি ও পরে ব্যাংদহার পাড়ে আক্রমন করে অপর পারে তাড়িয়ে আনে। লোকজন ঠেকাতে গেলে সংঘর্ষ হয়। তার সাথীদের মধ্যে সাগর পড়ে রাস্তার ইটের আঘাতে আহত হয়।
ইয়াছিন আরাফত ও অনেকে বলেন, শান্ত পূর্বথেকে উশৃঙ্খল। মাহফিল বন্ধ করার চেষ্টা করেছিল। মাহফিল নিয়ে তারেকের উপর আক্রমনের ঘটনা নিয়ে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। তাকে আমিই উদ্ধার করি। সে যখন তখন মানুষের উপর চড়াও হয়ে থাকে।