সিরাজুল ইসলাম, শ্যামনগর : আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নে অবৈধ দখলে থাকা জমি শালিসে চিহ্নিত করে বঞ্চিত শরীককে ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নস্যাত করতে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে বঞ্চিত শরীক বিনয় কৃষ্ণ মন্ডল প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করোছেন।খাজরা ইউনিয়নের রাউতাড়া মৌজায় এসএ ৪১৯নং খতিয়ানে ১৪৬০দাগে ৬৬শতক জমির সমান অংশীদার ৪টি শরীক। শরীকদের মধ্যে ডা. শংকর কুমার মন্ডলগংয়ের শরীকাংশ সাড়ে ১৬শতক, ক্রয়কৃত সাড়ে ১৬শতক, মোট পাওনা ৩৩শতক হলেও রেকর্ড হয়েছে ৩৬শতক। মৃত আত্তারাম মন্ডলের পুত্র দেবদাশ ও পঞ্চারামদের নামে রেকর্ড হয়েছে ২শতক, কিন্তু দখলে আছে ৭শতক। মনোরঞ্জন মন্ডলের ছেলে বিনয় কৃষ্ণ মন্ডলের এসএ অনুসারে পাওনা ৯শতক। আরএস রেকর্ডে ৯৫৭খং রেকর্ড হয়েছে ৫শতক। দখলে আছে ২শতক। সম্পত্তির দখল নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হলে দু’মাস পূর্বে গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এসএ থেকে আরএস রেকর্ডীয় ১১জন মালিককে নিয়ে শালিসে বসেন। শালিসে আমিন দ্বারা জমি মাপজোক করা হয়। মাপ শেষে সকলের সম্মতিতে সিদ্ধান্ত হয় যে, দেবদাশের দখলে থাকা অতিরিক্ত ৫শতক জমি হতে ৩শতক জমি বিনয়কে দেওয়া হবে। তখন দেবদাশ সাগরে থাকায় দু’মাস সময় চেয়ে নেয়া হয় এবং সকলের উপস্থিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়। দু’মাস পার হওয়ায় সকল শালিসদারকে খবর দিয়ে গত শুক্রবার (১১ এপ্রিল) রোবর্ডীয় মালিকদের নিয়ে দ্বিতীয় বার শালিসে বসেন। শালিসে পুনরায় কাগজপত্র পর্যালোচনা করে প্রথম শালিসের সিদ্ধান্ত সঠিক থাকায় জমি মাপজোক শেষে দেব দাশের দখলে থাকা অতিরিক্ত ৭শতকের মধ্যে হতে ৩শতক জমি এক পাশ থেকে চিহ্নিত করে বের করে দেওয়া হয়। সেখানে সকলের উপস্থিতিতে নেট বেড়া দিয়ে সীমানা নির্ধারন করা হয়।
শালিস থাকা সাংবাদিক বোরহান উদ্দীন বুলুর ভগ্নিপতি কাপসন্ডা গ্রামের মোহাম্মদ আলী গাজী জানান, প্রথম শালিসের সিদ্ধান্ত দ্বিতীয় শালিসের সিদ্ধান্ত একই হওয়ায় আমরা রেকর্ডীয় মালিকসহ উপস্থিত প্রতিবেশীদের সামনেই জমি মেপে সীমনা চিহ্নিত করে দেই। এসময় কোন মতবিরোধ বা কোন রকম ন্যুনতম দ্বন্দ্ব ফাসাদ হয়নি। আমরা সকলকে জানিয়ে দিয়েছি শালিসের সিদ্ধান্তে কোন আপত্তি থাকলে যে কেউ পুনরায় শালিস বসাতে পারে। আমরা আমাদের জানামতে সম্পুর্ণ নিরপেক্ষ ও পক্ষপাতমুক্ত ভাবে ফয়সালার চেষ্টা করেছি।
শালিসে থাকা অরবিন্দ হালদার, হারান মন্ডল জানান, প্রথম শালিসের সিদ্ধান্ত ২য় শালিসে বসে সকলের সম্মতিতে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এসময় কোন মত বিরোধ, দ্বন্দ্ব, আক্রমন, ভাংচুর বা কোন প্রকার কথা কাটাকাটিও হয়নি। কেউ কোন অভিযোগ করলে তা ষড়যন্ত্রমূলক ও মিথ্যা।
দেবদাশ মন্ডলের স্ত্রী আমাপতি সকলের সামনে জানান, আমাদের দখলে ৭শতক জমি আছে, আমাদের রেকর্ড হয়েছে ২শতক। শালিসকারকরা জমিতে সীমানা টেনে ৩শতক জমি আলাদা করে রেখেছে। আমাদের ঘরবাড়ি ভাংচুর বা কোন ক্ষয়ক্ষতি করা হয়নি।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত