
জন্মভূমি ডেস্ক : আঘাত হানার পর দুর্বল হয়ে পড়ে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা। টানা তিন ঘণ্টা পর বাতাস ও বৃষ্টি কমে আবহাওয়া শান্ত হতে শুরু করে। এর মধ্যে রবিবার বিকাল থেকে কক্সবাজারের আশ্রয়কেন্দ্রগুলো থেকে বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছেন মানুষজন।
আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফেরা লোকজন বলছেন, ঘূর্ণিঝড় চলে গেছে বলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বাড়ি ফেরার নির্দেশনা দিয়েছেন। এ জন্য তারা বাড়ি ফিরছেন।
বাড়ি ফেরার পথে সদরের কুতুবদিয়া পাড়ার বাসিন্দা নুরুল ইসলাম বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ে আমার বাড়ি ভেঙে গেছে বলে শুনেছি। শনিবার রাতে আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছিলাম। এখানে নানা ধরনের ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। তাই বাড়ি যাচ্ছি।’
একই এলাকার বাসিন্দা ইয়াসমিন আক্তার বলেন, ‘আমাদের এলাকার চেয়ারম্যান-মেম্বার বাড়ি ফিরতে বলেছেন। এ জন্য বাড়ি যাচ্ছি। আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা কষ্টকর। এখানে থাকার চেয়ে নিজের বাড়িতে থাকা অনেক ভালো।’
শুধু নুরুল ইসলাম ও ইয়াসমিন নন, মহাবিপদ সংকেত বলবৎ থাকা সত্ত্বেও অনেকে বাড়ি ফিরছেন। ইতোমধ্যে উপকূলের বিভিন্ন এলাকার অধিকাংশ লোকজন বাড়ি চলে গেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, ‘এখনও মহাবিপদ সংকেত রয়ে গেছে। এ কারণে আশ্রয়কেন্দ্রের মানুষজনকে বাড়ি ফিরতে নিষেধ করা হয়েছে। এরপরও তারা কেন চলে যাচ্ছেন, তা আমাদের জানা নেই।’
জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, উপকূলের বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র এবং স্বজনদের বাসাবাড়িতে দুই লাখ ৫০ হাজার মানুষজন আশ্রয় নিয়েছেন। মহাবিপদ সংকেত নামলে তাদের বাড়ি ফেরার কথা ছিল।