জন্মভূমি ডেস্ক : ইউক্রেনে রুশ আক্রমণের পর এক বছরে ক্লাস্টার বোমার আঘাতে হতাহতের সংখ্যা ৯ শতাধিক। ২০২২ সালে রুশ আক্রমণের পর এক বছরে এই হতাহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ক্লাস্টার মিউনিশন কোয়ালিশন (সিএমসি) নামের একটি সংস্থা। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
মঙ্গলবার প্রকাশিত সিএমসির বার্ষিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ইউক্রেনে আক্রমণের পর থেকেই ব্যাপকভাবে ক্লাস্টার বোমা ব্যবহার করছে রাশিয়া। পুরনো ও নতুন উদ্ভাবিত অস্ত্র দিয়ে ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে রুশ বাহিনী। ইউক্রেনও এই ধরনের বোমা ব্যবহার করছে, তবে তা রাশিয়ার চেয়ে পরিমাণে অনেক কম।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেশ কয়েক বছর ক্লাস্টার বোমায় হতাহতের কোনও তথ্য না থাকলেও ইউক্রেনে গত বছর প্রায় ৯১৬ জন নিহত বা আহতের কথা নথিভুক্ত করেছে। হতাহতদের বেশিরভাগ বেসামরিক নাগরিক।
ইউক্রেনে হতাহতের সংখ্যা বৃদ্ধিতে বিশ্বজুড়ে ক্লাস্টার বোমায় হতাহতের সংখ্যা হয়েছে ১ হাজার ১৭২ জন। ২০১০ সালে সিএমসি প্রতিবেদন প্রকাশ শুরুর পর থেকে এটিই এক বছরের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
ক্লাস্টার বোমা নিক্ষেপের পর বাতাসে উন্মুক্ত হয় এবং বিস্তৃত এলাকাজুড়ে ছোট ছোট ‘বোমা’ ছিটিয়ে দেয়। বোমাগুলো একই সময়ে একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে, যেমন- ট্যাংক ও সামরিক সরঞ্জাম। কিন্তু এগুলো দীর্ঘদিন সক্রিয় অবস্থায় বিদ্যমান থাকে। ফলে যুদ্ধ বা সংঘাত শেষ হলেও বেসামরিক হতাহতের ঝুঁকি থাকে।
আন্তর্জাতিক আইনে ক্লাস্টার বোমার ব্যবহার নিষিদ্ধ নয়। তবে এটি নিষিদ্ধ করার একটি কনভেনশনে ১২০টিরও বেশি দেশ যোগ দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া এবং ইউক্রেন এতে স্বাক্ষর করেনি।