নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় নিশ্চিত করলো বাংলাদেশ। বুধবার মিরপুর শের এ বাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে সফরকারীদের ৬ উইকেটে পরাজিত করে টাইগাররা। এ জয়ের ফলে ৫ ম্যাচের সিরিজের ৪ ম্যাচ শেষে ৩-১ এ সিরিজ জয় নিশ্চিত করলো বাংলাদেশ।
এই ম্যাচে আগে ব্যাট করতে মুস্তাফিজুর রহমান ও নাসুম আহমেদের বোলিং তোপে নিউজিল্যান্ড ১৯.৩ ওভারে মাত্র ৯৩ রানে অল আউট হয়ে যায়। মুস্তাফিজ ৩.৩ ওভার বল করে মাত্র ১২ রান খরচায় নেয় ৪ উইকেট। আর নাসুম আহমেদ ৪ ওভারে মাত্র ১০ রান দিয়ে নেন সমান ৪ উইকেট। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৯.১ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় স্বাগতিকরা। টাইগারদের ইনিংসে সর্বোচ্চ ৪৩ রান আসে অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ব্যাট থেকে।
সহজ জয়ের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই লিটনকে সাজঘরের পথ দেখান কোল ম্যাকঞ্চি। কিউই অফস্পিনারকে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে ডিপ স্কয়ারে ফ্যাবিয়েন অ্যালেনের দুর্দান্ত ক্যাচ হন টাইগার ওপেনার (১১ বলে ৬)। এরপর ২৪ রানের ছোট একটি জুটি গড়ে উঠে নাইম আর সাকিব আল হাসানের মধ্যে। জুটিটি বড় হতে পারতো। কিন্তু সাকিব টার্নিং পিচে অদূরদর্শী কাজ করে বসেন। অ্যাজাজ প্যাটেলকে ডাউন দ্য উইকেটে মারতে গিয়ে স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার (৮ বলে ৮)। দুই বল পর টাইগারদের আরেক ব্যাটিং ভরসা মুশফিকুর রহীমকেও (০) বোল্ড করে দেন প্যাটেল। ৩২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে স্বাগতিকরা।
সেখান থেকে দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে দলকে এগিয়ে নেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আর নাইম শেখ। মারমুখী না খেলে তারা দেখেশুনে এগোতে থাকেন। ৫০ বলে ৩৫ রানের সেই জুটিটি শেষ পর্যন্ত ভেঙেছে ১৫তম ওভারে, দুর্ভাগ্যজনক এক রানআউটে। ৩৫ বলে একটি করে চার-ছক্কায় গড়া টাইগার ওপেনারের ২৯ রানের ইনিংসের ইতি সেখানেই। তবে অধিনায়কের সবটুকু দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে ম্যাচ শেষ করেই এসেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ইনিংসের শেষ ওভারের প্রথম বলে তার ব্যাট থেকেই আসে জয়সূচক বাউন্ডারিটি। ৪৮ বলে ১ চার, ২ ছক্কায় ৪৩ রানে অপরাজিত থাকেন টাইগার দলপতি।
এর আগে নাসুম আহমেদ আর মোস্তাফিজুর রহমানের বোলিং তোপে ইনিংসের ৩ বল বাকি থাকতে মাত্র ৯৩ রানে গুটিয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। নাসুম-মোস্তাফিজ দুজনই নেন ৪টি করে উইকেট। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন উইল ইয়ং, ৪৮ বলের মোকাবেলায় ৫টি চার ও ১টি ছক্কা হাঁকিয়ে। ২৬ বল মোকাবেলা করা ল্যাথামের ব্যাট থেকে আসে ২১ রান।
বাংলাদেশের পক্ষে নাসুম আহমেদ ১০ রানের খরচায় ও মুস্তাফিজুর রহমান ১২ রানের খরচায় চারটি করে উইকেট শিকার করেন। নাসুম ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ের দিনে দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে ম্যাচে দুটি মেডেন ওভারের কীর্তি গড়েন।