জন্মভূমি ডেস্ক : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকি দুই মাসেরও কম। তার আগেই নতুন বিশ্বরেকর্ড গড়লেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের সভাপতি তথা নারী নেত্রী হিসেবে আগেই তিনি একটি রেকর্ড করেছেন। এবার বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে গড়লেন বিশ্বরেকর্ড।
সেদিক দিয়ে দেখতে গেলে প্রতিবেশী দেশ ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকেও পেছনে ফেলে দিয়েছেন শেখ হাসিনা। এছাড়া বাংলাদেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে দেশকে দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় দেশ হিসেবেও তিনি গড়ে তুলেছেন।
সম্প্রতি টাইম ম্যাগাজিনের কভারে ছিলেন শেখ হাসিনা। বিশ্বের সর্বোচ্চ ক্ষমতাশালী ব্যক্তিদের মধ্যে তাকে একজন হিসেবে ধরা হয়। একাধিকবার তিনি বিশ্বের ১০০ জন ক্ষমতাধর নারীর তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন।
৭৬ বছর বয়সি শেখ হাসিনা এখন পর্যন্ত চারবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রয়েছেন। ২০০৯ সাল থেকে তিনি টানা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশ পরিচালনা করছেন।
শেখ হাসিনা প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত। এরপর ২০০৯ সালে আবার তিনি প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। সেই থেকে রয়েছেন টানা প্রায় ১৫ বছর। এছাড়া তিনি সাতবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
ভারতের ইন্দিরা গান্ধী হোক কিংবা বৃটেনের মার্গারেট থ্যাচার— এত দীর্ঘ সময় ধরে দেশ পরিচালনা করার রেকর্ড কোনো নারী প্রধানমন্ত্রীর নেই। সেই বিশ্বরেকর্ড গড়লেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও লড়বেন শেখ হাসিনা । সেই নির্বাচনে যদি জয়ী হন, তবে গড়বেন নতুন আরও একটি বিশ্বরেকর্ড। পরপর চারবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হননি বিশ্বের কোনো নারী।
প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি নির্বাচনে লড়বেন এবং জিতে আবার সরকার গঠন করার ক্ষেত্রে আশাবাদী। শেখ হাসিনার মতে, জনগণই তার সরকারের প্রধান চালিকাশক্তি। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে তাকে ছুঁড়ে ফেলা সহজ নয়। তিনি দৃঢ় প্রত্যয়ী। বলেন, তাকে হারানোর একমাত্র উপায় হলো মেরে ফেলা।
এছাড়া বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার উপরেও জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, আওয়ামী লিগের শাসনামলে বাংলাদেশের মানুষ এবং সংখ্যালঘুরা সুরক্ষিত।
বিগত কয়েক বছরে বাংলাদেশের প্রভূত উন্নতি হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে। শিক্ষা, সামাজিক, স্বাস্থ্য এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। উন্নতি হয়ে কৃষিক্ষেত্রেও। সহজ হয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। তাছাড়া দেশের জিডিপিও বেড়েছে কয়েকগুণ।