জন্মভূমি ডেস্ক : তীব্র দাবদাহ চলছে বিশ্বের দেশে। ভাঙছে তাপমাত্রার রেকর্ড। অতিষ্ঠ জনজীবন। এমন অবস্থার মধ্যে এবার ইরানে সর্বোচ্চ ৬৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা অনুভূত হয়েছে। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় বুশেহর প্রদেশের পার্সিয়ান গালফ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
রোববার গরমের সূচকে (হিট ইনডেক্সে) তাপমাত্রা অনুভূত হয় ১৫২ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ৬৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে এশিয়া, ইউরোপের বিভিন্ন দেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রে তাপমাত্রা ঐতিহাসিক মাত্রায় পৌঁছাতে পারে বলে আভাস দেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইউএস স্ট্রমওয়াচের আবহাওয়াবিদ কেভিন ম্যাককার্থি গতকাল সোমবার তার ভেরিফায়েড টুইটার অ্যাকাউন্টে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
টুইটে কেভিন ম্যাককার্থি লেখেন, রোববার দুপুর সাড়ে ১২টায় পার্সিয়ান গালফ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকায় তাপমাত্রা অনুভূত হয় ৬৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া সংক্রান্ত ওয়েবসাইটগুলো বলছে, রোববার দুপুরে সাড়ে বারোটায় মিনিটখানেকের জন্য ৬৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছিল ইরানের পারসিয়ান গাল্ফ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট অঞ্চলের তাপমাত্রা!
ইউএস স্টর্মওয়াচের কলিন ম্যাকার্থি বলছেন, 'এই তাপমাত্রা মানুষের বা যে কোনও প্রাণীরই সহনক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি। এই তাপমাত্রায় বেশিক্ষণ সুস্থ থাকাই সম্ভব নয়।'
ভারতের আলিপুর আবহাওয়া দফতরের সাবেক প্রধান কর্মকর্তা গোকূল দেবনাথের বক্তব্য, '৬৬ ডিগ্রিতে মানুষ সাধারণত বাঁচতে পারে না। ফলে আমার এই আবহাওয়া রেকর্ড নিয়ে কিছু প্রশ্ন রয়েছে। তবে এইটুকু বলতে পারি জলবায়ু পরিবর্তনই এই হিট ওয়েভের জন্য দায়ী।'
ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুলাই এ যাবৎকালের সবচেয়ে গরম মাস হতে চলেছে। প্রথম ১৭ দিনের মধ্যে ১০ দিনই 'হটেস্ট ডে' হিসেবে বিশ্বজুড়ে চিহ্নিত হয়েছে।
এই তাপপ্রবাহ কোনও এক জায়গায় নয়, আমেরিকা থেকে ইউরোপ ও এশিয়ার কিছু অংশে এই অবস্থা কয়েক সপ্তাহ ধরে চলছে। আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, একদিকে প্রশান্ত মহাসাগরে এল নিনো আরও ঘনীভূত হচ্ছে আর ফ্লোরিডা লাগোয়া অ্যাটলান্টিকের পানির তাপমাত্রা ৩২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছে।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত