By using this site, you agree to the Privacy Policy and Terms of Use.
Accept

প্রকাশনার ৫২ বছর

দৈনিক জন্মভূমি

পাঠকের চাহিদা পূরণের অঙ্গীকার

  • মূলপাতা
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • রাজনীতি
  • খেলাধূলা
  • বিনোদন
  • জেলার খবর
    • খুলনা
    • চুয়াডাঙ্গা
    • বাগেরহাট
    • মাগুরা
    • যশোর
    • সাতক্ষীরা
  • ফিচার
  • ই-পেপার
Reading: ইসরায়েলের বুকে কাঁপন ধরিয়েছিলেন যে বাংলাদেশি বীর
Share
দৈনিক জন্মভূমিদৈনিক জন্মভূমি
Aa
  • মূলপাতা
  • জাতীয়
  • জেলার খবর
  • ই-পেপার
অনুসন্ধান করুন
  • জাতীয়
  • জেলার খবর
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলাধূলা
  • বিনোদন
  • ই-পেপার
Have an existing account? Sign In
Follow US
প্রধান সম্পাদক মনিরুল হুদা, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত
দৈনিক জন্মভূমি > জাতীয় > ইসরায়েলের বুকে কাঁপন ধরিয়েছিলেন যে বাংলাদেশি বীর
জাতীয়তাজা খবর

ইসরায়েলের বুকে কাঁপন ধরিয়েছিলেন যে বাংলাদেশি বীর

Last updated: 2025/04/08 at 2:28 PM
করেস্পন্ডেন্ট 3 months ago
Share
SHARE

ডেস্ক রিপোর্ট : গাজার বর্তমান পরিস্থিতিতে অনেকেই স্মরণ করেছেন ১৯৬৭ সালের তৃতীয় আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের ইতিহাস। যে যুদ্ধে ইসরায়েলের যমদূত হয়ে হাজির হয়েছিলেন বাংলাদেশের বিমানবাহিনীর পাইলট সাইফুল আজম সুজা।
সাইফুল আজম পৃথিবীর ইতিহাসের একমাত্র যোদ্ধা, যিনি একক ব্যক্তি হিসেবে সর্বোচ্চ সংখ্যক ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার অনন্য রেকর্ড গড়েছেন। একাই নাকানিচুবানি খাইয়েছিলেন বর্বর ইসরায়েলি সেনাদের।
এমন কৃতিত্বের জন্য বাংলাদেশের এই বৈমানিককে সেই সময় ‘নাত আল-সুজাহ’ সামরিক সম্মাননায় ভূষিত করা হয়। এই বীর যোদ্ধার সেই গৌরবময় ইতিহাস হয়তো অনেকেরই অজানা।
সাইফুল আজম সুজা ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের বিমান বাহিনীতে যোগ দেন। এর আগে পাকিস্তান বিমানবাহিনীতে কর্মরত থাকাকালে ১৯৬৭ সালের জুন মাসে তৃতীয় আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরু হয়।
সেই যুদ্ধে অংশ নিতে ইরাকি বিমানবাহিনীতে বদলি হন সাইফুল আজম সুজা। পশ্চিম ইরাকে অবস্থান নিয়ে ইসরায়েলিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন তিনি।
যুদ্ধ শুরু হওয়ার মাত্র ৫ দিনের মাথায় গাজা ও সিনাইয়ের কর্তৃত্ব নিয়েছিল ইসরায়েল। জুনের ৫ তারিখে সিরীয় বিমানবাহিনীর দুই-তৃতীয়াংশ শক্তি ধ্বংস করে দেয় ইসরায়েলের বিমান সেনারা।
তেমন কোনো প্রতিরোধ ছাড়াই ইসরায়েল পশ্চিমতীর ও জেরুজালেম দখল করে নেয়। দখল করে নেয় সিরিয়ার গোলান মালভূমিও।
তাদের সামনে বিন্দুমাত্র প্রতিরোধ তৈরি করতে পারেনি মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশ। এমন পরিস্থিতিতে ইসরায়েলিদের যমদূত হয়ে জর্ডানে যান সাইফুল আজম। ৬ জুন আকাশ থেকে প্রচণ্ড আক্রমণে মিসরীয় বিমানবাহিনীর যুদ্ধ-সরঞ্জাম গুঁড়িয়ে দেয় ইসরায়েলি বাহিনী।
একই দিন বেলা ১২টা ৪৮ মিনিটে চারটি ইসরায়েলি সুপারসনিক ‘ডাসল্ট সুপার মিস্টেরে’ জঙ্গি বিমান ধেয়ে আসে জর্ডানের মাফরাক বিমানঘাঁটির দিকে। এবার তাদের লক্ষ্য জর্ডানের ছোট্ট বিমানবাহিনীকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া।
সেই সময় ইসরায়েলি সুপারসনিকের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার মতো সমকক্ষ বিমান আরবদের ছিল না। তবু ইসরায়েলিদের ঠেকাতে মাফরাক বিমানঘাঁটি থেকে ‘হকার হান্টার’ জঙ্গিবিমান নিয়ে বুক চিতিয়ে উড়াল দেন সাইফুল আজম।
আর সেই হকার হান্টার দিয়েই ক্ষিপ্রগতির দুটি ইসরায়েলি সুপারসনিক ঘায়েল করে ফেলেন বাংলাদেশি বৈমানিক। তার অব্যর্থ আঘাতে ভূপাতিত হয় একটি ইসরায়েলি ‘সুপার মিস্টেরে’।
আরেক আঘাতে প্রায় অকেজো হয়ে ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে কোনো মতে পালিয়ে ইসরায়েলি সীমানায় গিয়ে আছড়ে পড়ে আরেকটি বিমান।
সেদিন অকুতোভয় বৈমানিক সাইফুল আজমের অকল্পনীয় বীরত্বের কারণে ইসরায়েলের পুরো পরিকল্পনাই ভেস্তে যায়। উল্টো নিজেদেরই দুটো বিমান হারায় তারা। এমন বীরত্বের জন্য পুরস্কারস্বরূপ সাইফুল আজমকে ‘হুসাম-ই-ইস্তিকলাল’ সম্মাননায় ভূষিত করে জর্ডান সরকার।
সাইফুল আজমের কাছে ইসরায়েলি বৈমানিকদের ধরাশায়ী হওয়ার পরদিনই তার কৃতিত্বে ইরাকি বৈমানিক দলের কাছে চরমভাবে পরাজিত হয় ইসরায়েল। ৭ জুন ইরাকের ‘এইচ-থ্রি’ ও ‘আল-ওয়ালিদ’ ঘাঁটি রক্ষা করার দায়িত্ব পড়ে এক ইরাকি বৈমানিক দলের কাঁধে। সাইফুল আজম ছিলেন সেই দলের অধিনায়ক।
সেদিন চারটি ‘ভেটোর বোম্বার’ ও দুটি ‘মিরেজ থ্রিসি’ জঙ্গিবিমান নিয়ে আক্রমণ চালায় ইসরায়েল।
একটি ‘মিরেজ থ্রিসি’ বিমানে ছিলেন ইসরায়েলি ক্যাপ্টেন গিডিওন দ্রোর। দ্রোরের গুলিতে নিহত হন আজমের উইংম্যান। তার হামলায় ভূপাতিত হয় দুটি ইরাকি বিমান। পরক্ষণেই এর জবাব দেন আজম।
তার অব্যর্থ টার্গেটে পরিণত হয় দ্রোরের ‘মিরেজ থ্রিসি’। সেই আঘাতের পর বাঁচার উপায় না পেয়ে যুদ্ধবন্দি হিসেবে ধরা দেন ক্যাপ্টেন দ্রোর। পরে ওই যুদ্ধবন্দির বিনিময়ে জর্ডান ও ইরাকের সহস্রাধিক সৈন্যকে মুক্ত করে দেয় ইসরায়েল।
এই ঘটনার মধ্য দিয়ে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের প্রথম ৭২ ঘণ্টায় সাইফুল আজম একটি অনন্য রেকর্ড গড়েন। ইতিহাসে তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি সর্বোচ্চ চারটি ইসরায়েলি বিমান ভূপাতিত করেছেন। যে জন্য তাকে ‘নাত আল-সুজাহ’ সামরিক সম্মাননায় ভূষিত করা হয়।
সাইফুল আজমই পৃথিবীর ইতিহাসে একমাত্র বৈমানিক যিনি চারটি দেশের বিমানবাহিনীর সেনা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এই চারটি দেশ হলো- পাকিস্তান, জর্ডান, ইরাক ও মাতৃভূমি বাংলাদেশ।
এছাড়া ৮টি ভিন্ন দেশের আট বাহিনীর বিমান পরিচালনা করেছেন আজম। যুক্তরাষ্ট্র, পাকিস্তান, ইংল্যান্ড, জর্ডান, ইরাক, রাশিয়া, চীন ও নিজ মাতৃভূমি বাংলাদেশের হয়ে বিমান চালিয়েছেন তিনি।
যুদ্ধক্ষেত্রে অনন্য সব অর্জন আর ইতিহাস গড়া সাইফুল আজমকে ২০০১ সালে ইউনাইটেড স্টেটস এয়ার ফোর্স বিশ্বের ২২ জন ‘লিভিং ইগলস’-এর একজন হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
সাবেক এই সেনা কর্মকর্তার যেসব কর্মকাণ্ড বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশকে গর্বিত করে, সেসব ঘটনার কথা বর্তমান প্রজন্মের অনেকেরই অজানা।
অনেকে হয়তো তার পরিচয়ও জানেন না। তিনি পাবনা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্যও ছিলেন। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর সাবেক প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল ফখরুল আজম তারই ভাই।
কিংবদন্তি এই বীর বাঙালি ২০২০ সালের জুনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। বাংলাদেশি এই বীরকে আজো শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন ফিলিস্তিনিরা।
আজ গাজাবাসীকে রক্ষায় বাংলাদেশী ক্যাপ্টেন সাইফুল আজমের মতো এমন কয়েকজন সাহসী ও দক্ষ এয়ার স্ট্রাইকার দরকার। দরকার মুসলিম বিশ্বের সম্মিলিত সামরিক হস্তক্ষেপ।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে দীর্ঘ ১৫ মাসের আগ্রাসনের পর ৪২ দিনের একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি পেয়েছিল গাজাবাসী। স্বস্তি ফিরেছিল নারী-শিশুসহ নিরীহ ফিলিস্তিনিদের মধ্যে। তবে সেই স্বস্তিটা দীর্ঘ হতে দিলো না দখলদার ইসরায়েল।
গত ১৮ মার্চ থেকে গাজাবাসীর ওপর নতুন করে বিমান ও স্থল হামলা শুরু করে ইসরায়েলের বর্বর বাহিনী। এতে দীর্ঘ থেকে দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। বিপরীতে কমে যাচ্ছে বেঁচে থাকা মানুষের সংখ্যা।
যারাও বা বেঁচে যাচ্ছেন, তাদেরকেও উচ্ছেদ করা হচ্ছে বাড়িঘর থেকে। অন্যদিকে দীর্ঘদিনের অবরোধের কারণে ক্ষুধা-দারিদ্র পীড়িত ফিলিস্তিনিরা এখন রোগে-শোকে ধুঁকে মরতে বসেছে। ক্রমাগত বোমাবর্ষণ ও হামলায় গোটা গাজা উপত্যকা যেন এক ধ্বংসস্তুপ ও মৃত্যুপুরীতে পরিণত।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও তথ্য বিভাগের তথ্যানুযায়ী, ইসরায়েলি হামলায় উপত্যকাটিকে এখন পর্যন্ত ৬২ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। এছাড়া আহতের সংখ্যা দেড় লাখেরও বেশি।
এর বিপরীতে ইসরায়েলকে কিছুটা হলেও প্রতিরোধ করে যাচ্ছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তারা জবাব হিসেবে গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েল অভিমুখে এখন পর্যন্ত সহস্রাধিক রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। যার অধিকাংশই আয়রন ডোম প্রতিরোধ ব্যবস্থা দিয়ে প্রতিহত করেছে ইসরায়েল।

করেস্পন্ডেন্ট April 8, 2025
Share this Article
Facebook Twitter Whatsapp Whatsapp LinkedIn Email Copy Link Print
Previous Article চীনা পণ্যে আরও ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি ট্রাম্পের
Next Article অভিনেত্রী মালাইকা আরোরার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
Leave a comment

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

দিনপঞ্জি

July 2025
S M T W T F S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031  
« Jun    
- Advertisement -
Ad imageAd image
আরো পড়ুন
সাতক্ষীরা

সুন্দরবনরক্ষায় দায়িত্ব আমাদের সকলের ‌,ইউএনও রণী খাতুন

By করেস্পন্ডেন্ট 8 hours ago
সাতক্ষীরা

জলবায়ুর প্রভাব ‌,স্বাদ-সুগন্ধ নেই ‌ইলিশের

By করেস্পন্ডেন্ট 9 hours ago
মহানগর

নগরীতে আবাসিক হোটেল থেকে নারীর লাশ উদ্ধার

By করেস্পন্ডেন্ট 9 hours ago

এ সম্পর্কিত আরও খবর

জাতীয়

গোপালগঞ্জে বাসের ধাক্কায় নিহত ২

By করেস্পন্ডেন্ট 13 hours ago
জাতীয়

বেসরকারি হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার ফি কমলো

By করেস্পন্ডেন্ট 13 hours ago
জাতীয়তাজা খবর

নির্বাচনী কার্যক্রম দানা বাঁধছে না, পথ স্পষ্ট নয়

By করেস্পন্ডেন্ট 13 hours ago

প্রতিষ্ঠাতা: আক্তার জাহান রুমা

প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক: হুমায়ুন কবীর বালু

প্রকাশনার ৫২ বছর

দৈনিক জন্মভূমি

পাঠকের চাহিদা পূরণের অঙ্গীকার

প্রতিষ্ঠাতা: আক্তার জাহান রুমা

প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক: হুমায়ুন কবীর বালু

রেজি: কেএন ৭৫

প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক: আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত

Developed By Proxima Infotech and Ali Abrar

Removed from reading list

Undo
Welcome Back!

Sign in to your account

Lost your password?