ডেস্ক নিউজ : তেহরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েল কোনো প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ নিলে ইসরায়েলের সব অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করে হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছে ইরান।
ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর যুগ্ম প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি এই ঘোষণা দেন।
বাঘেরি বলেন, ‘যদি ইসরায়েল…এই ধরনের অপরাধ অব্যাহত রাখে বা আমাদের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার বিরুদ্ধে কিছু করতে চায়, তাহলে আজকের রাতের অভিযান আরও কয়েকগুণ শক্তিশালী হবে এবং তাদের সমস্ত অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ইরানের বিশেষায়িত সামরিক শাখা রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ফের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জন্য প্রস্তুত।
এদিকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইতোমধ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে ইরানকে ইসরায়েলে হামলা করার জন্য গুরুতর ফলাফল ভোগ করতে হবে।
গত বছরের অক্টোবরে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর থেকে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে সীমিত পরিসরের হামলা চালিয়ে আসছিল ইরানের সমর্থনপুষ্ট সংগঠন হিজবুল্লাহ। ইসরায়েলও পাল্টা জবাব দিচ্ছিল। গত ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে লেবাননে হামলা জোরদার করে ইসরায়েল।
শুক্রবার বৈরুতের উপকণ্ঠে ইসরায়েলের হামলায় নিহত হন লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ। গত সোমবার লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে স্থল অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। পাশাপাশি ব্যাপক বিমান হামলা চালায়। লেবাননে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার মধ্যে গতকাল ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ১৮০টির মতো ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। হামলায় তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। এরপর দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে ইসরায়েল সরকার।
হামলার সময় লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় দেশটির আকাশসীমা। এ ছাড়া ইসরায়েল ও ইরানের মাঝামাঝি অবস্থানরত ইরাক ও জর্ডানও তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দেয়। বাংকারে আশ্রয় নেন ইসরায়েলের মন্ত্রিসভার সদস্যরা।
এদিকে হামলার জবাবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু পাল্টা আঘাত হানার হুমকি দিয়েছেন। মঙ্গলবার রাতে জরুরি রাজনৈতিক নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর দেওয়া বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আজ রাতে ইরান একটি বড় ভুল করেছে আর এর জন্য তাদের মূল্য দিতে হবে।’