জন্মভূমি ডেস্ক : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রধান ফটক আটকে দুই ঘণ্টা বিক্ষোভের পর সরে গেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। গত মঙ্গলবার বিকেল ৪টা থেকে পৌনে ৬টা পর্যন্ত প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। এ সময় বিভিন্ন বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন। আন্দোলনে দুই ঘণ্টা আটকা পড়ে ক্যাম্পাস থেকে কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহগামী শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের বহনকারী বাস।
জানা যায়, সম্প্রতি হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের এক নবীন শিক্ষার্থীকে র্যাগিংয়ের অভিযোগ ওঠে একই বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান ইমন, শাহরিয়ার পুলক, হিশাম নাজির শুভ, সাদমান সাকিব আকিব, ও শেখ সালাউদ্দীন সাকিবের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে গত মঙ্গলবার বেলা ১১টায় ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্টস কোড অব কন্ডাক্টের ৪ এবং ৫ ধারা মোতাবেক অভিযুক্ত মিজানুর রহমান ইমন ও হিশাম নাজির শুভকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার এবং বাকি তিনজনকে আগামী এক বছরের জন্য বহিষ্কার করার সুপারিশ করা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিকেল ৪টায় শিক্ষার্থীরা প্রধান ফটক অবরোধ রেখে বিক্ষোভ শুরু করেন।
বিক্ষোভ শুরুর ৩০ মিনিট পর প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা বিক্ষোভস্থলে উপস্থিত হন। তারা বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দফায় দফায় কথা বলেও পরিস্থিতি শান্ত করতে ব্যর্থ হন। এক পর্যায়ে পৌনে ৬টার দিকে প্রক্টরিয়াল বডির সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সমঝোতায় অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।