
জন্মভূমি রিপোর্ট : ঈদে বাহারি পাঞ্জাবির সঙ্গে নানা রঙের টুপি পরে নামাজে যান মুসল্লিরা। তাই রমজানের শুরু থেকে পছন্দের টুপি কিনতে টুপির দোকানে ভিড় বাড়তে থাকে। সড়কের পাশে বা অভিজাত বিপণিবিতানের টুপির দোকানে মানুষের ভিড় চোখে পড়ার মতো।
খুলনার প্রাণকেন্দ্র ডাকবাংলো মোড়। এ এলাকায় অভিজাত বিপণিবিতানগুলোর অবস্থান। খুলনা শপিং কমপে¬ক্স, জলিল টাওয়ার, এশা চেম্বার, মালেক চেম্বার, সোহরাওয়ার্দী বিপণিবিতান, মশিউর রহমান মার্কেট, খাজা খানজাহান আলী হকার্স মার্কেট, রেলওয়ে মার্কেট, জব্বার মার্কেটসহ অর্ধশতাধিক বিপণিবিতান রয়েছে এ এলাকায়। এছাড়া খুলনার বড় বাজারও রয়েছে এ জায়গায়। এ সড়কে টুপির পসরা নিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা।
নগরীর পিকচার প্যালেস মোড়ের টুপি বিক্রেতা রাসেল বলেন, আগে টি-শার্ট ও প্যান্ট বিক্রি করতাম। এখন টুপি বিক্রি করি। ঢাকা থেকে টুপি এনে এখানে বিক্রি করি। এ দোকানে ৩০ থেকে ৩০০ টাকা দামের টুপি রয়েছে। বেচাকেনার কথা জানতে চাইলে রাসেল বলেন, ঈদের অনেক সময় বাকি। প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করার পর ফিরে যাবার পথে ক্রেতারা আসেন টুপি কিনতে। এখনও বেচাকেনা তেমন জমেনি। আরও ৩-৪ দিন পর টুপি কেনার হিড়িক পড়বে।
খোকন নামের এক টুপি বিক্রেতা বলেন, এখন টুপির দিকে মানুষের খুব বেশি খেয়াল নেই। তারপরও দিনে অর্ধশতাধিক টুপি বিক্রি হচ্ছে। বিক্রির পরিমাণ দিন দিন বৃদ্ধি পাবে। নগরীর বড় বাজার থেকে কেনাকাটা সেরে টুপি কিনতে আসেন রাজিবুল ইসলাম। কয়েকটি দোকান ঘুরে তিনটি টুপি কেনেন তিনি। প্রতি বছর এখান থেকে তিনটি টুপি কিনি। টুপির জন্য আলাদা দোকান না থাকায় এখান থেকেই টুপি কিনতে হয়। এখানে সবধরনের টুপি পাওয়া যায়।