
জন্মভূমি ডেস্ক : ঈদুল ফিতর উপলক্ষে জনস্বার্থে পদ্মা সেতুতে প্রতিদিন ৬ ঘণ্টা করে মোটরসাইকেল চলাচলের দাবি জানিয়েছেন মোটরসাইকেল অ্যাসেম্বলার্স ও ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিমামা)। গত মঙ্গলবার রাজধানীর বনানীতে সেতু বিভাগের সচিব মো. মনজুর হোসেন কাছে এক আবেদনে এই দাবি জানায় সংগঠনটি।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়, মোটরসাইকেল শিল্পকে অগ্রাধিকার প্রদান করে সারাদেশে একটি ব্যয় সাশ্রয়ী পরিবহণ ব্যবস্থা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়। বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে পরিবহন ব্যবস্থায় মোটরসাইকেল সাধারণ মানুষের একটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পরিবহণ মাধ্যমে পরিণত হয়েছে। মানুষের ব্যক্তি ও কর্মজীবনকে সহজসাধ্য এবং গতিশীল করতে মোটর সাইকেলের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। ফলে একদিকে মানুষের দৈনন্দিন যাতায়াত ব্যয় অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে। সেইসঙ্গে যাতায়াত ব্যবস্থা আরও সহজ করেছে।
প্রতিবছর ঈদ উদযাপনে লাখ লাখ মানুষ ঢাকা ছেড়ে এলাকায় যান। ফলে গণপরিবহণ ও ট্রেনের ওপর প্রবল চাপ পড়ে। অনেকেই ঈদের সময়ে এসব বাহনের টিকিটও সংগ্রহ করতে পারেন না। সে কারণে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক যাত্রী নিজস্ব মোটরসাইকেল যোগে নিজ এলাকায় গমন করেন। এতে তারা নিজস্ব সময়সূচি অনুযায়ী ভ্রমণ করতে পারেন এবং নিজস্ব বাহন নিয়ে ভ্রমণ করার ক্ষেত্রে তারা স্বাচ্ছন্দ্যও বোধ করেন। কিন্তু দুঃখজনকভাবে পদ্মাসেতু দিয়ে মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকায় দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিম এলাকার বিপুল সংখ্যক মানুষ ঈদের সময় তাদের নিজের বাহনে নিজ এলাকায় যেতে পারছেন না। ফলে তারা বিরাট সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। এমতাবস্থায় জনস্বার্থে খন্ডকালীন সময়ের জন্য পদ্মাসেতু দিয়ে অন্তত অর্ধবেলা অর্থাৎ প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত অথবা সুবিধাজনক সময়ে মোটরসাইকেল চলাচলের আবেদন জানিয়েছে সংগঠনটি।
এ বিষয়ে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব কুমার রায় বলেন, ‘পদ্মা সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকায় দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিম এলাকার বিপুল সংখ্যক মানুষ ঈদের সময় তাদের নিজস্ব বাহনে নিজ এলাকায় যেতে পারছেন না। ফলে তারা বিরাট সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। তাই ঈদের সময় যাতের অর্ধবেলা মোটরসাইকেল চলাচলের অনুমতি দেয়া হয় সেজন্য সেতু সচিব বরাবর আবেদন দেয়া হয়েছে।’