
জন্মভূমি ডেস্ক : ‘আজ সপরিবারে নিজ জন্মস্থানে যাচ্ছি; মা-বাবা, ভাই-বোন সবার সঙ্গে ঈদ করার জন্য। তিলোত্তমা ঢাকা ছেড়ে বাড়ি যাচ্ছি একান্তই নাড়ির টানে।’ ‘অনেক লম্বা জার্নি, তবু মনটা ফুরফুরে আবেশে ভরে আছে। খুব ভালো লাগছে। সবাই দোয়া করবেন, আবার যেন সুস্থভাবে আপনাদের মাঝে ফিরে আসতে পারি। সবাইকে ঈদের আগাম শুভেচ্ছা। ভালো থাকবেন।’ আসন্ন ঈদুল ফিতর উপযাপন করতে বাড়ি ফেরা মানুষের অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন পোস্ট দিয়ে ব্যস্ত শহরকে কিছু দিনের জন্য বিদায় বলে দিচ্ছেন। পরিবার ও আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে ছুটছেন গ্রামের বাড়িতে। এদিকে সোমবার থেকে শুরু হয়েছে ঈদ যাত্রা। মঙ্গলবার ঈদের আগে শেষ কর্মদিবস ছিল সরকারি কর্মকর্তাদের। এদিন দুপুর থেকেই রাজধানীর রেলস্টেশন, বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চ টার্মিনালে বাড়ি ফেরা মানুষের ঢল ছিল।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২২ অথবা ২৩ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে পবিত্র ঈদুল ফিতর। এর আগে ৭ এপ্রিল শুক্রবার থেকে দূরপাল্লার পরিবহনে অগ্রিম টিকিট প্রদান করা হয়। রাজধানীর কল্যাণপুর, গাবতলী টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, রংপুর-রাজশাহী কিংবা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলগামী যাত্রীবাহী বাসগুলোর প্রতি সিটেই যাত্রী আছেন। সকাল থেকে অনেক বাসই গন্তব্যে ছেড়ে গেছে। পরিবারসহ যাত্রীর সংখ্যাই বেশি ছিল। পরিবহন সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, রাস্তায় যানজট নেই, পথ অনেকটাই স্বাভাবিক। ফেরীঘাটে যাত্রীবাহী পরিবহণের চাপ থাকলেও অতিরিক্ত ফেরি থাকায় পারাপারের চাপ নেই।
এদিকে ভোগান্তির আশঙ্কা ছাপিয়ে ট্রেনেও স্বস্তির ঈদযাত্রা চলছে। তেমন একটা দুর্ভোগ হয়নি এদিন। সকাল থেকে কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে বেশিরভাগ ট্রেন যথাসময়ে ছেড়ে গেছে। তাছাড়া সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালেও তেমন ভিড় ছিল না। স্বাচ্ছন্দে মানুষ বাড়ির পথে রওনা হচ্ছেন। ঈদযাত্রায় ফিটনেসবিহীন গাড়ি সড়কে যেন না নামতে পারে এ বিষয়ে কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়ে ঢাকা বাস মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের প্রস্তুতি ভালো আছে। ৪০ লাখ যাত্রী পরিবহনের লক্ষ্যে সব কিছু প্রস্তুত। আনফিট বাস যেন ঢাকা থেকে রিজার্ভে যেতে না পারে সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
যাত্রী কল্যাণ সমিতির তথ্য মতে, ঈদে ঢাকা থেকে প্রায় ১০ হাজার বাস চলাচল করবে। গড়ে প্রতিটি বাস দিনে দুই ট্রিপ দেবে। প্রতি বাস গড়ে ৪০ জন যাত্রী পরিবহন করবে। সে হিসাবে দিনে গড়ে আট লাখ, পাঁচ দিনে ৪০ লাখ মানুষ বাসে ঢাকা ছাড়বে। এসব যাত্রীর প্রায় ১০ লাখ বিভিন্ন কারখানার শ্রমিক। অনেক কারখানার শ্রমিক নিজেরাই বাস ভাড়া করবে। তাছাড়া বিকল্প ব্যবস্থায় অনেকে রাজধানী ছাড়বেন।
ঈদের বাকি এই ক’দিনে প্রায় অর্ধ কোটি মানুষ ঢাকা ছাড়বে। এসময় ফিটনেসবিহীন বাস জোড়াতালি দিয়ে রঙ করে রাস্তায় নামবে বলে মনে করেন রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান। তিনি বলেন, ‘ফিটনেসবিহীন বাস ঈদের সময় কোনো রকম জোড়াতালি দিয়ে রং করে সড়কে নামবে এটা যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। ঈদের আগে পাঁচ-সাত দিনের প্রস্তুতিতে এর চেয়ে ভালো কিছু আশাও করা যায় না। কয়েক দিনে প্রায় কোটি মানুষ ঢাকা ছাড়বে অথচ বিআরটিসির উপযুক্ত ব্যবস্থা নেই।’
॥ ভেঙে ভেঙে বাড়ি যাচ্ছেন ॥
যারা বাসের টিকিট কাটেননি তাদের অনেকে ভেঙে ভেঙে বাড়ির পথে রওনা হচ্ছেন। রাজধানীতে যারা স্বল্পপূঁজির মানুষ তারাই এভাবে বেশি যাচ্ছেন। তাছাড়া অনেক শিক্ষার্থীকেও এভাবে যেতে দেখা যাচ্ছে। রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালের সামনে থেকে সেলফি পরিবহণের অনেক বাস সাভার, মানিকগঞ্জ হয়ে পাটুরিয়া ঘাটে যাচ্ছে। এসব বাসে যাত্রীদের বেশ ভিড় দেখা গেছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সাদ্দাম হোসেন দুর্জয় বলেন, ‘মা বাবার সঙ্গে ঝিনাইদহের মহেশপুরে ঈদ করতে যাচ্ছি। ভেঙে ভেঙে গেলে যাবার খরচ কিছুটা কম লাগে। তবে যেতে একটু কষ্ট হবে। তাও বাবা-মার সঙ্গে ঈদ করবো এটাই আনন্দ।’
পাঁচ বছরের শিশু আয়াজ রহমান। যাচ্ছে নানী বাড়িতে। জানতে চাইলে বলে, ঈদ করতে বগুড়ায় নানুর বাসায় যাচ্ছি মা-বাবার সঙ্গে। এদিকে ঈদ যাত্রার দ্বিতীয় দিনে সবাই নিজেদের মতো করে বাড়ি যাওয়ার চেষ্টা করছেন। কেউ গণপরিবহন, কেউ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় প্রাইভেটকার বা মাইক্রোতে নাড়ির টানে ছুটেন বাড়ির দিকে। কেউ কেউ নিজের মোটরসাইকেল নিয়েও রওনা হয়েছেন। তবে স্বল্প আয়ের মানুষরা পিকআপ, ট্রাকে করে ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি ফিরতে দেখা গেছে।
॥ ট্রেনে দাঁড়িয়ে যাওয়ার টিকিটের জন্য দীর্ঘ সারি, পাচ্ছেন না অনেকেই ॥
গত সোমবার (১৭ এপ্রিল) থেকে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ট্রেনে ঈদযাত্রা শুরু হয়েছে। এবার অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটা সিস্টেম চালুর পাশাপাশি যারা অনলাইন মাধ্যমে টিকিট কাটতে পারেননি তাদের জন্য যাত্রার দুই ঘণ্টা আগে দাঁড়িয়ে যাওয়ার (স্ট্যান্ডিং টিকিট) টিকিটের ব্যবস্থা রেখেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। তবে এই প্রক্রিয়ায় শতকরা ২৫ শতাংশ টিকিটের বেশি বিক্রি না করায় অনেক যাত্রী টিকিট না পেয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে স্টেশন থেকে।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সরজমিনে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেল্শনের কাউন্টারগুলোর সামনে স্ট্যান্ডিং টিকিট প্রক্রিয়ায় টিকিট পেতে যাত্রীদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। এদিন ভোর ৫টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে টিকিট পাওয়া জুবায়ের হাসানের সঙ্গে কথা হয় ঢাকা টাইমসের এই প্রতিবেদকের। তার গন্তব্য পাবনার ঈশ্বরদী। টিকিট পেয়ে জুবায়ের বলেন, ‘সড়কপথে দীর্ঘ যানজট থাকে, এ কারণে স্ট্যান্ডিং টিকিটের জন্য এসেছিলাম। ভাগ্য সহায় ছিল, দীর্ঘ অপেক্ষার পর একটা টিকিট পেয়েছি।’ টিকিটের অপেক্ষায় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মো. রাশেদ নামে এক যাত্রী বলেন, ‘দাঁড়িয়ে আছি স্ট্যান্ডিং টিকিটের জন্য। অনেকেই টিকিট পাননি, জানি না আমি পাব কিনা। ব্যাগ-ব্যাগেজ নিয়ে এসেছি, টিকিট না পেলে বিকল্প পথে (বাস) গ্রামে ফিরতে হবে।’
কমলাপুর রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, এবার আন্তঃনগর ট্রেনে ঈদযাত্রার জন্য ৩০ হাজার যাত্রী টিকিট সংগ্রহ করেছেন এরই মধ্যে। যারা টিকিট পাননি তাদের জন্য শতকরা ২৫ শতাংশ স্ট্যান্ডিং টিকিটের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তবে, ২৫ শতাংশ টিকিট বিক্রির কথা থাকলেও যাত্রীর চাপ রয়েছে প্রচুর। এতে দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়েও টিকিট পাচ্ছেন না অনেকেই। এদিন দেখা যায়, কমলাপুর স্টেশনে টিকিট ছাড়া কেউ প্রবেশের অনুমতি পাচ্ছেন না। টিকিট না থাকলে তাকে দাঁড়ানো টিকিট কেটে স্টেশনে প্রবেশের অনুমতি নিতে হচ্ছে। যাত্রীদের নিরাপত্তায় রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে রয়েছে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এছাড়া ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আন্তঃদেশীয় মিতালী এক্সপ্রেস ১৮ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত এবং মৈত্রী এক্সপ্রেস ২০ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে, আন্তঃদেশীয় বন্ধন এক্সপ্রেস যথারীতি চলাচল করবে। এবার ঈদযাত্রায় আন্তঃনগর ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয় গত ৭ এপ্রিল। একইভাবে ঈদের ফিরতি যাত্রার টিকিট বিক্রি শুরু হয় ১৫ এপ্রিল। ফিরতি যাত্রার টিকিট বিক্রি শুরুর প্রথমদিন বিক্রি হয়েছে ২৫ এপ্রিলের টিকিট। ১৬ এপ্রিল বিক্রি হয়েছে ২৬ এপ্রিলের, ১৭ এপ্রিল ২৭ এপ্রিলের, ১৮ এপ্রিল ২৮ এপ্রিলের, ১৯ এপ্রিল হচ্ছে ২৯ এপ্রিলের এবং ২০ এপ্রিল বিক্রি করা হবে ৩০ এপ্রিলের টিকিট। প্রতিদিন আন্তঃনগর ট্রেনে আসনসহ টিকিট ও দাঁড়ানো টিকিট মিলে প্রায় ৪৫ হাজার যাত্রী ঢাকা ছাড়ছেন।
॥ প্রাণ পেয়েছে সদরঘাট ॥
পদ্মা সেতুর কারণে সদরঘাটে অচলাবস্থা হয়ে উঠেছিল। তবে সেই অবস্থা এখন আর নেই। ঘরমুখী মানুষের ঢল নামতে শুরু করেছে ঘাটে। দক্ষিণাঞ্চলের বিপুলসংখ্যক ঘরমুখী মানুষ সদরঘাট দিয়ে ঢাকা ছাড়ছেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল কর্তৃপক্ষ। স্বাভাবিক সময়ে যাত্রী সংকটে প্রতিটি নৌরুটে নিয়মিত ২ থেকে তিনটি করে লঞ্চ স্বল্প যাত্রী নিয়ে চলাচল করে। ঈদ উপলক্ষে যাত্রীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় বাড়ানো হয়েছে লঞ্চও। সোম ও মঙ্গলবার লঞ্চগুলো কানায় কানায় যাত্রী নিয়ে ঘাট ছেড়েছে।
তবে আগের মতো লড়াই করে লঞ্চে উঠতে হচ্ছে না। স্বস্তিতেই যাত্রীরা তাদের গন্তব্যের পথে রওনা হচ্ছেন। যাত্রীরা বলছেন, লঞ্চে আগের মতো ভিড় নেই। অন্য সময়ে কয়েক দিন আগেও টিকিট পাওয়া যেত না। তবে পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে ভিড় কম। এমডি ভোলা লঞ্চের যাত্রী মহিদুল ইসলাম বলেন, এবার লঞ্চে আরামে যাওয়া যাচ্ছে। অনেক মানুষ বাসে করে বরিশালে যাচ্ছেন এ জন্য লঞ্চ ঘাটে ভিড় কম দেখা গেছে। আজ ঘাটে এসেই টিকিট নিতে পেরেছি। ভাড়াও কিছুটা কম রেখেছে। তাই ভোগান্তি কম। মোটামুটি ভালো লাগছে।
॥ আইনশৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থা কড়া ॥
ঈদে বাড়ি ফেরা মানুষের যাতায়াত স্বাচ্ছন্দ করতে সড়ক, মহাসড়ক, রেল ও নৌপথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি ট্রাফিক ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখতে রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশের সদস্য বাড়ানো হয়েছে। কোনও ধরণের যাত্রী হয়রানি, ছিনতাই, মলমপার্টি, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় এবং জাল টাকার বিস্তাররোধে পুলিশের পাশাপাশি র্যাবসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তাছাড়া যে কোনও সমস্যায় পড়লে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করে পুলিশি সহায়তা নিতে বলেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘আমরা ঈদ যাত্রার সার্বিক নিরাপত্তা বিধানে কাজ করছি। ঈদ যেন সবাই উৎসবমুখরভাবে পালন করতে পারে সে জন্য র্যাব ফোর্সেস-আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করবো। র্যাবের বিভিন্ন ব্যাটালিয়ন সড়ক, মহাসড়কে দিনরাত টহল দিচ্ছে। বিভিন্ন টার্মিনালে আমাদের বুথ করা হয়েছে।’
নৌ পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, দেশের প্রধান নদীবন্দর সদরঘাটে মঙ্গলবার যাত্রীদের ভিড় আছে। ঘরমুখী মানুষের নিরাপত্তা দিতে নৌ পুলিশ বিশেষ দায়িত্ব পালন করছে। যাতে করে কোনও মানুষ বিপদে না পড়েন; সেই জন্য নদীবন্দরে অতিরিক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে সড়ক-মহাসড়কে ফিটনেসবিহীন যানবাহন চলাচল করতে পারবে না। হাইওয়েতে নসিমন-ভটভটিসহ অবৈধ যান চলাচল বন্ধ থাকবে। যানবাহনে অতিরিক্ত যাত্রী বহন না করা, বাসের ছাদে এবং পণ্য পরিবহনকারী যানবাহনে যাত্রী বহন না করার জন্য পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।
সবাই মিলে একযোগে কাজ করলে জনগণের ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হবে বলে মনে করেন পুলিশপ্রধান। বলেন, ‘ঈদকে সামনে রেখে যানজট নিরসন এবং আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।’