জলাবদ্ধতা দূরীকরণের লক্ষ্যে সাতক্ষীরা শহরের পানি নিস্কাশনের একমাত্র পথ প্রাণ সায়ের খালের পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে প্রশাসন। শনিবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হয় এই উচ্ছেদ অভিযান। এদিকে প্রশাসনের আকষ্কিক এই উচ্ছেদ অভিযানে লাখ লাখ টাকা ক্ষতির মুখে ব্যবসায়ীরা। তবে প্রশাসন বলছে, প্রাণ সায়ের খালের পাশে গড়ে উঠা ২২৯টি অবৈধ স্থাপনার তালিকা প্রস্তুত করে দোকানের মালপত্র সরিয়ে নিতে আগেই নোটিশ করা হয়েছিল।
সাতক্ষীরা সুলতানপুর মাছ বাজার এলাকা থেকে শুরু হয় এই অভিযান। ব্যবসায়ী মাহবুবুর রহমান জানান, আকষ্মিকভাবে সকাল থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হওয়ায় কেউ দোকানের মালপত্র সরিয়ে নিতে পারেনি। স্থাপনা তো গেছেই তাছাড়া মালপত্র মিলে কয়েক লাখ টাকা করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সব ব্যবসায়ীরা।
মাছ ব্যবসায়ী মো: নুরুল আমিন জানান, ৫০টি দোকান ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এসব দোকানের এখনো পৌরসভা থেকে নেওয়া ইজারার মেয়াদও রয়েছে। তারই মধ্যে দোকানঘর গুলো ভেঙে দেওয়ায় ব্যবসায়ীরা মারাত্মকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হলো। আমরা এই লাখ লাখ টাকার ক্ষতিপূরণ দাবি করছি। প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
প্রাণ সায়ের খাল দ্রæত খননের দাবি জানিয়ে সাতক্ষীরা মাছ বাজার সমিতির সভাপতি আব্দুর রব বলেন, জলাবদ্ধতার কারণে খালটি খনন করা প্রয়োজন। আমাদের পৌরসভা থেকে বৈধভাবে ইজারা নেওয়া সম্পত্তি তারপরও ভেঙে দিল। আমাদের একটাই দাবি খালটি যেন দ্রæত খনন করা হয়। তা না হলে যেসকল ব্যবসায়ীরা লাখ লাখ টাকার ক্ষতি করা হচ্ছে তাদের কাছে এই প্রশাসন দায়বদ্ধ থাকবে।
অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনাকারী জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ইন্দ্রজিত সাহা জানান, প্রাণ সায়ের খাল খনন করে জলাবদ্ধতার হাত থেকে সাতক্ষীরার মানুষকে রক্ষা করতে এই উচ্ছেদ অভিযান চলবে। খালের তীরে গড়ে উঠা ২২৯টি অবৈধ স্থাপনার তালিকা প্রস্তুত করে স্থাপনা সরিয়ে নিতে আগেই নোটিশ করা হয়েছিল। গত এক সপ্তাহ শহরজুড়ে মাইকিং করা হয়েছে তবুও এসব ব্যবসায়ীরা মালপত্র সরিয়ে নেননি।
তিনি বলেন, শনিবার প্রথম দিনে ৫০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। যতদিন প্রাণ সায়ের খালের দুই ধারে সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শেষ না হবে ততদিন জেলা প্রশাসকের নির্দেশে এই অভিযান চলবে।