জন্মভূমি রিপোর্ট : শুক্রবার ভোর হতে সকাল এবং পড়ন্ত বিকেল থেকে রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উত্তরের হিমেল হাওয়া এলোমেলো ভাবে বয়ে যাচ্ছিল। যার ধরণ ছিল-হালকা থেকে মাঝারি মানের। সকাল সাড়ে ৯টার পর থেকে সূর্য দেখা দিলেও দিনব্যাপী উত্তাপহীন আলো ছড়িয়েছে। তাপমাত্রা বৃহস্পতিবারের তুলনায় খুব একটা না কমলেও বাতাসের কারণে শীত তীব্রভাবে অনুভূত হচ্ছিল। যদিও আগামী দুই-এক দিনের মধ্যে খুলনা মৃদু শৈত্য প্রবাহের কবলে পড়তে পারে বলে আবহাওয়া অফিস কর্তৃপক্ষ পূর্বাভাস দিয়েছেন।
সূত্রমতে, গতকাল খুলনায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগের দিন বৃহস্পতিবার ১৪ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল। আজ শনিবার তাপমাত্রা আরও দুই-এক ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। তাপমাত্রা ১০ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে নামলে মৃদু শৈত্য প্রবাহ, ৮ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে মাঝারি মানের এবং তাপমাত্রা ৬ ড্রিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে তীব্র শৈত্য প্রবাহ হিসেবে রেকর্ড হয়।
সূত্র জানান, রাত ১২ টার পর থেকে কুয়াশাপাতের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। ভোর থেকে সকাল ১০ টা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে হালকা থেকে মাঝারি মানের কুয়াশা ঝরছে। এরকম কুয়াশাপাত অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
খুলনা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিরুল আজাদ দৈনিক জন্মভূমিকে বলেন, আগামী ১৬ থেকে ১৭ জানুয়ারি তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তখন শীতের প্রকোপ কমবে। এরপর ১৮ থেকে ১৯ জানুয়ারির মধ্যে আকাশ মেঘলা এবং বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আকাশ মেঘমুক্ত হলে আবারও শীত জেঁকে বসবে। চলতি মাস এবং আগামী ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত শীত পরিস্থিতি অব্যাহত থাকবে।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, আজ শনিবার ভোর ৬ টা ৪৪ মিনিটে সূর্যদয় এবং সন্ধ্যা ৫ টা ৩৫ মিনিটে সূর্যাস্তের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, কুয়াশার কারণে সকালে সূর্যের দেখা পেতে দেরি হতে পারে।