জন্মভূমি ডেস্ক : ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশের সন্ধানে সমুদ্রে যান উপকূলের জেলেরা। এরই মধ্যে হঠাৎ উত্তাল হয়েছে বঙ্গোপসাগর। তাই নিরাপদে উপকূলে ফিরছে সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া ট্রলারগুলো। এতে ট্রলার প্রতি দেড় থেকে দুই লাখ টাকার লোকসান গুনতে হবে মালিকদের।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) সকাল থেকে সমুদ্র উপকূলে বৈরী আবহাওয়ার প্রভাবে ঘাটে ফিরতে দেখা যায় শতশত মাছ ধরার ট্রলার। বৃষ্টি আর হালকা বাতাসের সঙ্গে উত্তাল হয়ে ওঠে সমুদ্র। তাই জীবন বাঁচাতে মাছ ধরা বন্ধ করে উপকূলে ফিরতে শুরু করে ট্রলারগুলো।
বুধবার (২৬ জুলাই) দুপুর পর্যন্ত কেবল পটুয়াখালীর আলিপুর ও মহিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে প্রায় পাঁচ শতাধিক ট্রলার ফিরে এসেছে। প্রতিটি ট্রলারেই লোকসান হওয়ায় মলিনতা ছিল জেলেদের চোখে-মুখে।
ঘাটে ফেরা ট্রলার এফবি আদিল এর মাঝি কুদ্দুস গাজী ঢাকা পোস্টকে জানান, প্রায় আড়াই লাখ টাকার রসদ সামগ্রী নিয়ে রোববার গভীর রাতে তারা ১৬ জন জেলে ও মাঝি সমুদ্রে যাত্রা করেন। প্রায় ৩৬ ঘণ্টা ট্রলার চালিয়ে যখন মাছ ধরার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ঠিক তখন জানতে পারেন সমুদ্রের লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। যেহেতু অনেক টাকার রসদ ও তেল খরচ করে গিয়েছেন তাই ঝুঁকি নিয়েও সমুদ্রে জাল ফেলেন। তবে জাল ফেলার পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টার মধ্যেই উত্তাল হতে থাকে সমুদ্র। একসময় সমুদ্র এতটাই উত্তাল হয়ে ওঠে যে তাড়াহুড়া করে জাল টেনে ফিরে আসেন তারা। এতে আড়াই লাখ টাকা খরচ হলেও কোনো মাছ নিয়ে ফিরতে পারেননি তারা।
কুয়াকাটা-আলিপুর মৎস্য মালিক সমিতির সভাপতি আনসার উদ্দিন মোল্লা বলেন, এখন পর্যন্ত নিরাপদে ফিরছেন প্রায় পাঁচ শতাধিক ট্রলার। ৬৫ দিনের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে সমুদ্রে গিয়ে তিন দিনের মাথায় ফিরে আসেন মাছধরার ট্রলার গুলো। কোটি টাকার লোকশানের সম্মুখীন ট্রলার মালিকরা। জেলে পেশায় থাকা সবাইকে সুদ মুক্ত ক্ষুদ্রঋণের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি সরকারের কাছে।
পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী ঢাকা পোস্টকে বলেন, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয়। তাই পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এলাকায় অবস্থানরত সকল মাছধরা ট্রলার ও নৌযানকে সাবধানে থেকে চলাচল করতে বলা হয়েছে। আগামী ৭২ ঘণ্টা বৃষ্টি ও বাতাস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।