
কয়রা প্রতিনিধি : এমপি আক্তারুজ্জামান বাবু ঘূর্ণিঝড় মোখা ক্ষয়ক্ষতি রোধে জরুরী ভিত্তিতে উপকূলীয় এলাকার কয়রার মানুষের জীবনমান রক্ষার জন্য ও প্লাবিত হওয়ার হাত থেকে রক্ষার্থে ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ সংস্কারে পাউবোর শীর্ষ কর্মকর্তা ও স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি রোববার দিনভর পানি উন্নয়ন বোর্ডের শীর্ষ কর্মকর্তা, স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে বিভিন্ন স্থানের বেঁড়িবাধের চলমান কাজ ও ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ পরিদর্শনকালে এ নির্দেশনা দেন। এ সময় তিনি বেশি ঝুঁকিপূর্ণ বেঁড়িবাধ মদিনাবাদ লঞ্চঘাট সংলগ্ন এলাকায় স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে নিজে দাঁড়িয়ে কাজের তদারকি করেন এবং ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সাধারণ মানুষকে সচেতন করেন।
পরিদর্শনকালে এমপি আক্তারুজ্জামান বাবু আইলা ও আম্ফানের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়ে বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলে ওয়াপদার বাঁধ ভেঙে কৃষি ফসল, মৎস্য ঘের প্লাবিত হয়ে ব্যাপক অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়, মানুষ হ গবাদিপশুর প্রাণহানি ঘটে। রাস্তা-ঘাটসহ সম্পদ বিনষ্ট হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপকূলীয় এলাকার মানুষের জীবন ও সম্পদ রক্ষার্থে টেঁকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণে মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। যা পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন হচ্ছে। ইতিমধ্যে ১৮০ কোটি টাকার প্রকল্প টেন্ডার হয়েছে। এসব প্রকল্প শেষ হলে ষাটের দশকে নির্মীত নাজুক বেঁড়িবাধের ঝুঁকিমুক্ত হবে। বর্তমানে উপকূলীয় এ অঞ্চলে বেঁড়িবাধে আগের মত ঝুঁকি নেই। আর মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে কয়রা উপকূল সম্পূর্ণ ঝুঁকিমুক্ত হবে। সবই প্রধানমন্ত্রীর আশীর্বাদ। প্রধানমন্ত্রীর আশীর্বাদে এই অঞ্চলের মানুষ এখন স্বস্তিতে ঘুমাতে পারছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম শফিকুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মমিনুর রহমান, এবিএমএস দোহা, খগেদ্রনাথ মন্ডল, জাফরুল ইসলাম পাড়, হারুন অর রশিদ, অধ্যক্ষ আদ্রিশ আদিত্য মন্ডল, চয়ন কুমার রায়, ইউপি চেয়ারম্যান সরদার নূরুল ইসলাম কোম্পানী, এস এম বাহারুল ইসলাম, আছের আলী মোড়ল, জিয়াউর রহমান জুয়েল, শাহ নেওয়াজ শিকারী, খয়রুল আলম, গণেশ মন্ডল, এ্যাড. আরাফাত হোসেন, আমিনুল হক বাদল, তরিকুল ইসলাম প্রমুখ।