
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : যখন কোমলমতি শিশুর হাতে থাকার কথা বই, তখন তাদের কাঁধে ওঠে সংসারের বোঝা। ওদের কানে পৌঁছায় না স্কুলের ঘণ্টাধ্বনি। যে বয়সে কাঁধে থাকবে স্কুল ব্যাগ, সে বয়সে ওরা মাথায় বহন করে মাছের ঝুড়ি। কার্যত শিশুশ্রমের বেড়াজালে কাটছে উপকূলীয় অঞ্চলের হাজারো শিশুর জীবন। উপকূলীয় জেলা পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলাসহ বিভিন্ন এলাকার জেলে পরিবারের অসংখ্য শিশুর দিন কাটে এভাবে। আনন্দ-বিনোদন তো দূরের কথা, প্রয়োজনীয় বিশ্রামের সুযোগ নেই তাদের।
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার মাছুয়াসহ অনেক মৎস্যকেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, যেসব শিশুর যাওয়ার কথা ছিল বিদ্যালয়ে, তারাই বড়দের সঙ্গে কাজ করছে পুরোমাত্রায়। কেউ সাগর থেকে আসা ট্রলারের ভেতর থেকে মাছ তুলছে, আবার কেউ সেই মাছের দর হাঁকাচ্ছে বিক্রির উদ্দেশ্যে। সেখানে কাজ করা শিশুদের সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। ১৪ বছর বয়সী জুয়েল মাছ ধরার কাজ করে। ১০ বছর বয়স থেকেই হাড়ভাঙা খাটুনি তার নিত্যদিনের সঙ্গী। আরেক শিশুশ্রমিক নাঈমের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি সে। শুধু জুয়েল ও নাঈম নয়, দারিদ্র্যের বেড়াজালে এভাবে হাজারো শিশুর শৈশব নষ্ট হয়ে যাচ্ছে উপকূলীয় অঞ্চলে। মোশারফ হোসেনের বাড়ি উপকূলের সংরাইল এলাকায়। বহুদিন অন্যের নৌকায় কাজ করেছেন; এবার নিজেই গড়েছেন জাল-নৌকা। স্কুলে যাওয়ার বয়সী ছেলেকে এখন তাঁর আরও বেশি প্রয়োজন নৌকায়। জাল-নৌকা নিয়ে মাছ ধরতে গেলে নৌকার গলুইয়ে বৈঠা ধরে বসে থাকার দায়িত্বটা পালন করতে হবে তাঁর ছেলেকে। মোশারফ কখনোই ভাবতে পারেননি ছেলেকে স্কুলে পাঠানোর কথা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার বলেশ্বর নদীসংলগ্ন চরখালি, মাছুয়া, হোগোলপাতি, মাঝেরচর, খেতাচিড়া, কচুবাড়িয়াসহ বিভিন্ন এলাকার বেশির ভাগ শিশু মাছ শিকারে নিয়োজিত থাকে। ওই এলাকার ছেলেমেয়েদের খুব একটা পড়াশোনার সুযোগ হয় না। বেশ কয়েকজন অভিভাবক জানান, নদীতে না গেলে জীবিকার পথ বন্ধ হয়ে যাবে। ছেলেমেয়ে স্কুলে পাঠালে আয় কমে যাবে। পেটের ক্ষুধা নিবারণের জন্য শিশুদের অল্প বয়সেই কাজে নামাতে হয়।
উপকূলের প্রান্তিক জনপদের নৌকা বা ট্রলারে কর্মরত বেশির ভাগ শিশু বাবা, চাচা বা বড় ভাইয়ের সঙ্গে মাছ ধরতে যায়। বাবা হাটে মাছ বিক্রি করতে গেলে উত্তাল নদীতে শিশুরাই নৌকার হাল ধরে বা মাছ ধরে। আবার কেউ কেউ সস্তায় শ্রম বিক্রি করে। সরকারের পক্ষ থেকে উপবৃত্তির টাকা, বিনা মূল্যের বই ওদের জন্যও বরাদ্দ থাকে। অনেকে এসব অনুদান নিয়েও পরিবারের প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতে কাজে নামে। স্কুলের হাজিরা খাতায় নাম থাকলেও দিন কাটে নদীর বুকে।
জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদে স্বাক্ষরকারী ১৯১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। ১৯৯০ সালের আগস্টে স্বাক্ষর করলেও ১৯৮৯ সালের ২০ নভেম্বর সাধারণ পরিষদে গৃহীত হওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশ এই সনদ গ্রহণ করে। আগের তুলনায় শহর এলাকায় শিশুশ্রম কিছুটা কমলেও উপকূলের চরাঞ্চল ও জেলেপল্লিতে এর মাত্রা অত্যধিক। শিশুদের সুরক্ষায় ১৯৭৪ সালের শিশু আইন সংশোধন করে ২০১৩ সালের ১৬ জুন সংসদে ‘শিশু আইন-২০১৩’ পাস হয়। শিশু আইন ছাড়াও শিশু অধিকার রক্ষায় সরকারের অসংখ্য আইন ও প্রকল্প রয়েছে। এগুলোর মধ্যে জাতীয় শিশু নীতিমালা-২০১১, জাতীয় শিক্ষা নীতিমালা-২০১০ এবং জাতীয় শিশুশ্রম নিরোধ নীতিমালা-২০১০ অন্যতম। এত আইন, নীতিমালা সত্ত্বেও উপকূলে শিশুশ্রম কমছে না।
মঠবাড়িয়া উপজেলার সমাজ উন্নয়ন কর্মকর্তা এমাদুল হক খান বলেন, ‘শিশুশ্রম প্রতিরোধে সরকার ও বিভিন্ন উন্নয়ন সংগঠন নানামুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। তবে উপকূলীয় অঞ্চলে শিশুশ্রমের মাত্রা একটু বেশি, এর কারণ হচ্ছে এখানে অভাবী মানুষের হার বেশি। যার ফলে শিশুরা লেখাপড়া ছেড়ে বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নেমে পড়ছে।’
শিশু সুরক্ষা নিয়ে কাজ করা স্থানীয় সংগঠন হাতেখড়ি ফাউন্ডেশনের সভাপতি সজীব মিত্র বলেন, ‘আমরা মাঠ পর্যায়ে গিয়ে কাজ করি, সেখানে যেটা দেখতে পাই অর্থ সংকটের সময় অনেক পরিবারই খাদ্য জোগানের জন্য শিশুদেরও কাজে লাগিয়ে দেয়। তাদের স্কুলমুখী করতে এখনই সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন।’
সরকারি-বেসরকারি নানা উদ্যোগ থাকা সত্ত্বেও সাতক্ষীরার শ্যামনগরে বাল্যবিয়ে ও শিশুশ্রম রোধ করা যাচ্ছে না। শিশুশ্রম ও বাল্যবিয়ের কারণে শিক্ষা থেকে ঝরে পড়ছে উপকূলীয় শিশুরা।
শ্যামনগর উপজেলা শিক্ষা অফিসের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে উপজেলার ৪৬টি বিদ্যালয়, ৩৬টি মাদরাসা ও ৩টি কারিগরি (ভোকেশনাল) বিদ্যালয়ে মোট ৫ হাজার ৬৫৭ জন শিক্ষার্থী অষ্টম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত ছিল। ওই বছরের পরীক্ষার্থীরাই ২০২৩ সালে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল মাত্র ৩ হাজার ২৯৩ জন। অর্থাৎ ওই ব্যাচের কমপক্ষে ২ হাজার ৩৬৪ জন শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে।
শিক্ষকরা জানান, ছেলে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার প্রধান কারণ দরিদ্রতা এবং মেয়ে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার পেছনে মূলত দায়ী বাল্যবিয়ে। বিয়ে হওয়ার পরে ছাত্রীদের পক্ষে পড়াশোনা অব্যাহত রাখা কঠিন হয়ে পড়ে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সচেতনতার অভাবে মেয়ে শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ বাল্যবিয়ে ও পারিবারিক আর্থিক দুরাবস্থার কারণে দ্রুতই শিক্ষা থেকে ঝরে পড়ছে। যদিও গত কয়েক বছর সরকারি-বেসরকারি নানা উদ্যোগে এ চিত্রে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। সরকার উপবৃত্তি ও বিনামূল্যে বই দেওয়াসহ নানা উদ্যোগের মাধ্যমে দেশে শিক্ষার বিভিন্ন স্তরে মেয়েদের অংশগ্রহণ ও টিকে থাকার হার বাড়ানোর চেষ্টা করছে। তবে ব্যতিক্রম চিত্র লক্ষ্য করা যায় ছেলে শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে। মূলত দারিদ্র্যের কারণেই ঝরে পড়া এসব ছেলে শিক্ষার্থী মাধ্যমিকের আগেই পড়াশোনা ছেড়ে দিচ্ছে বলে মনে করছেন স্থানীয় বিশেষজ্ঞরা। পরিবারের ভরণ-পোষণের তাগিদে জীবিকা উপার্জন করতে গিয়ে ঝরে পড়া এসব শিক্ষার্থী শিশুশ্রমের শিকার বলে দাবি তাদের। এছাড়াও বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে তারা। এ থেকে গড়ে উঠছে ছোট ছোট কিশোর গ্যাং।
উপজেলায় বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে কাজ করছে বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক। সংস্থাটি এ বছর উপজেলায় ৩টি বাল্যবিয়ে বন্ধ করেছে প্রশাসনের সহায়তায়।
ব্র্যাকের মানবাধিকার ও আইন সহায়তা কর্মসূচির (বিএলসি) উপজেলা কর্মকর্তা আরাফাত হোসেন বলেন, অনেক সময় অভিভাবকেরা দূরে কোনো আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে মেয়ের বিয়ে দেন। ফলে সব বিয়ে রোধ করা সম্ভব হয় না।
উপজেলার প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৩৪টি বাল্যবিয়ে বন্ধ করা হয়। তবে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলেন, বহু বিয়ে প্রশাসনের অগোচরে হয়ে গেছে।
উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নের সাপখালী গ্রামের এক দরিদ্র অভিভাবক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, তিনি এক আত্মীয়ের কথা শুনে সপ্তম শ্রেণিতে পড়া মেয়েকে বিয়ে দেন ২০২১ সালে। মাত্র চার মাসের মাথায় মেয়ের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এখন মেয়েটি তার বাড়িতেই থাকে। তার পড়াশোনাও আর হয়নি।
সদর ইউনিয়নের (শ্যামনগর পৌরসভা) মাহমুদপুর গ্রামের জোবেদা সোহারাব মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির এক মেয়ে শিক্ষার্থীর বিয়ে হয় ২০২২ সালে। পড়াশোনাও আর হয়নি। তার বাবার দাবি ভালো সম্বন্ধ পেয়েছি তাই আর দেরি না করে বিয়ে দিয়ে দিয়েছি।
কৈখালী ইউনিয়নের সাপখালী গ্রামের মোস্তফা গাজী বলেন, তার ছেলেকে পারিবারিক অসচ্ছলতা ও দরিদ্রতার কারণে বেশি পড়াশোনা করাননি তিনি। সপ্তম শ্রেণির পর তাকে ইটভাটায় পাঠিয়ে দেন কাজে। এ বছরও ইটভাটা মালিকপক্ষের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিয়েছেন তাকে কাজে পাঠানোর জন্য।
শিশুশ্রমের কথা বলায় তিনি বলেন, ওসব আমরা বুঝি না। কাজ করতে হবে, কাজ না করলে পেটে ভাত জুটবে না। অভাব অনটনের সংসারে একার পক্ষে সংসার চালানো সম্ভব না। তাই ছেলেকে কাজে লাগিয়েছি।
জোবেদা সোহরাব মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুস সাত্তার বলেন, তাঁর বিদ্যালয়ের ৯৭ জন শিক্ষার্থী ২০২০ সালে অষ্টম শ্রেণিতে অধ্যায়নরত ছিল। নবম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়ে এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার আগেই ৯ জনের বিয়ে হয়েছে। পাঁচজন ছেলে পড়ালেখা বাদ দিয়েছে। জানতে পেরেছি দরিদ্রতার কারণে অভিভাবকরা তাদের দেশের বিভিন্ন এলাকার ইটভাটায় শ্রমিক হিসেবে ও স্থানীয় বিভিন্ন দোকানের কর্মচারী হিসেবে কাজে যোগদান করিয়েছেন। ২০২৩ সালে ৭২ জন শিক্ষার্থী মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে।
কৈখালী শামছুর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শেখ সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, তাঁর বিদ্যালয়ে ২০২০ সালে ৮৭ জন শিক্ষার্থী অষ্টম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ছিল। এবার ৫৪ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। বাকি ৩৩ জন ঝরে পড়েছে। এদের অধিকাংশই বাল্যবিয়ে ও শিশুশ্রমে জড়িয়ে গেছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও নকিপুর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণানন্দ মুখার্জী বলেন, তাঁর বিদ্যালয়েও বাল্যবিয়ের কারণে কয়েকজন শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে। তবে বাল্যবিয়ে পরেও বেশ কয়েকজন ছাত্রী এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে বলে জানান তিনি।
তবে বাল্যবিয়ে আগের তুলনায় কমেছে বলে দাবি করে তিনি জানান, বাল্যবিয়ের হার আগের তুলনায় কমলেও শিশু শ্রমের হার বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে প্রতিবছর আমাদের এ উপকূলীয় এলাকা থেকে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী দেশের বিভিন্ন ইটভাটাসহ অন্যান্য পেশায় কাজে চলে যাচ্ছে পড়াশোনা বাদ দিয়ে। ৬ মাস ইটভাটায় কাজ শেষ করে তারা আর পড়াশোনায় যোগ দিচ্ছে না। এতে ঝরে পড়ছে অনেক শিক্ষার্থী। পরে এইসব ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের অনেকেই জড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে। গড়ে উঠছে ছোট ছোট বহু কিশোর গ্যাং।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ তেজারাত বলেন, শিশুশ্রম ও বাল্যবিয়ে রোধে প্রশাসন, শিক্ষক, এনজিওসহ সমাজের অনেক সচেতন মানুষ কাজ করে যাচ্ছেন। স্কুলগুলোতে সমাবেশ করে সচেতনতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। কুফল তুলে ধরা হচ্ছে। এরপরেও দরিদ্রতা ও পরিবারের অসচেতনতার কারণে রোধ করা যাচ্ছে না। তবে আগের তুলনায় বাল্যবিয়ের হার কমছে।
তবে শিশুশ্রমের হার না কমায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি বলেন, শীতকালে (ইটভাটার সিজনে) পরিবারের সঙ্গে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ইটভাটায় কাজ করতে যায় অনেক শিশু। পরে কাজ শেষ করে এসে তারা আর পড়াশোনায় যোগ দেয় না। এতে শিক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ ঝরে পড়ছে।
শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আক্তার হোসেন বলেন, সপ্তম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে বাল্যবিয়ের সংখ্যা বেশি। বাল্যবিয়ে রোধে প্রশাসন থেকে সচেতনতামূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে জরিমানা করাও হচ্ছে। তবে উদ্বেগজনক হারে শিশু শ্রমের হার বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন দরিদ্রতার কারণে পারিবারিকভাবে শিশুরা শিশুশ্রমে জড়িয়ে পড়ছে।

