জন্মভূমি ডেস্ক : উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের জামানত বাড়িয়ে এক লাখ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। সেই সঙ্গে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের ৭৫ হাজার টাকা করার প্রস্তাব হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব জাহাংগীর আলম। পাশাপাশি সংঘাত এড়াতে মনোনয়নপত্র অনলাইনে জমাদান বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে ২৮তম কমিশন সভায় এই সিদ্ধান্ত হয় বলে জানান তিনি।
ইসি সচিব জাহাংগীর আলম বলেন, কমিশন সভায় প্রস্তাবগুলো আইন মন্ত্রণালয়ের পাঠানো হবে। সেইগুলো ভেটিং শেষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বিধিমালা সংশোধনের বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমার ক্ষেত্রে ২৫০ জন ভোটারের স্বাক্ষরযুক্ত তালিকা দেওয়ার বিধান বাতিল; প্রতীক বরাদ্দের আগে মনোনয়নপত্র দাখিলের পর থেকে সর্বোচ্চ ৫ জন লোক নিয়ে জনসংযোগ করতে পারবেন প্রার্থীরা; কোনো পদে সমান ভোট পেলে পুনরায় ভোটের পরিবর্তে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের উপস্থিতিতে লটারির মাধ্যমে ফলাফল নির্ধারণ; প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ না পেলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত; উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ১ লাখ টাকা এবং ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭৫ হাজার টাকা করা প্রস্তাব করা হয়েছে; পোস্টারে পলিথিনের আবরণ এবং প্লাস্টিক ব্যানার ব্যবহার বন্ধ; শব্দদূষণ কমানোর লক্ষ্যে মাইকের সাউন্ড ৬০ ডেসিবেলের নিচে রাখা; সাদা-কালোর পাশাপাশি কেউ চাইলে রঙিন পোস্টারও করতে পারবেন বিষয়গুলো বিধিমালার চূড়ান্ত খসড়ায় রাখা হয়েছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর পরই উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা-২০১৩ এর সংশোধনীতে ২৬টি এবং উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা-২০১৬ এ সংশোধনীর কাজে হাত দেয় ইসির আইন ও বিধিমালা সংস্কার কমিটি।
ইসির আইন ও বিধিমালা সংস্কার কমিটির সভাপতি নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানার সভাপতিত্বে সভায় প্রাথমিক খসড়ার প্রস্তাবনা তৈরি করা হয়। মঙ্গলবার সেটি কমিশন সভায় উপস্থাপনের পর কিছু কাটছাঁট করে অনুমোদন দেয় কমিশন।
ইতোমধ্যে ইসি জানিয়েছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন চারটি ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপ ৪ মে ১৫৩টি, দ্বিতীয় ধাপ ১১ মে ১৬৫টি, তৃতীয় ধাপ ১৮ মে ১১১টি এবং চতুর্থ ধাপ ২৫ মে ৫২টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।