জন্মভূমি রিপোর্ট : উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রচার-প্রচারণা কালে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে খারাবাদ গ্রামে সংঘর্ষে অন্তত ৮ জন গুরুতর আহত হয়। আহতদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল রাতে উভয় পক্ষের ৭৪ জনের বিরুদ্দে থানায় মামলা রেকর্ড হয়। এছাড়া গত শুক্রবার রাত ৮টার দিকে ভান্ডারকোট বাসস্টান্ডে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে।
পুলিশ জানায়, চিংড়ি মাছ প্রতীকের প্রার্থী জিএম মিলন এবং টেলিফোন প্রতীক প্রার্থী শ্রীমন্ত অধিকারী রাহুল খারাবাদ গ্রামে নির্বাচনী প্রচারে ছিলেন। এ সময় তারা মুখোমুখি হয়ে পড়লে সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
প্রার্থী জিএম মিলন বলেন, প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাতে তার কর্মী আসলাম খান (২৪), মুসা খান (৩০), ডালিম শেখ (২৭)সহ ৬ জন গুরুতর আহত হয়। তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শ্রীমন্ত অধিকারী রাহুল বলেন, পরিকল্পিতভাবে তার কর্মীদের উপর হামলা চালালে বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়। তারা খুলনা মেডিকেলে ভর্তি আছেন। তাদের নাম এখন আমি দিতে পারছি না।
একই রাতে ৮টার দিকে ভান্ডারকোট গ্রামের বাসস্ট্যান্ডে শ্রিমন্ত অধিকারী রাহুলের সমর্থকদের সাথে ঘোড়া প্রতীক প্রার্থী মোতাহার হোসেন শিমুর সমর্থকদের মাধে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বটিয়াঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রিপন কুমার সরকার বলেন, প্রার্থীদের প্রচার প্রচারনা কালে খারাবাদ গ্রামে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৮ জন আহত হয়। শ্রীমন্ত অধিকারী রাহুলের ৩ জন এবং জিএম মিলনের ৫জন সমর্থক আহত অবস্থায় খুলনা মেডিকেলে ভর্তি আছেন। উভয় পক্ষের ৭৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা রেকর্ড হয়েছে। জিএম মিলনের পক্ষের মামলায় ৩৯ জন এবং শ্রীমন্ত অধিকারী রাহুলের পক্ষের মামলায় ৩৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া ভান্ডারকোট বাসস্টান্ডে প্রচার কালে টেলিফোন প্রতীকের সমর্থক ও ঘোড়া প্রতীকের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ সকল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখেছে।
উপজেলা নির্বাচন: বটিয়াঘাটায় সংঘর্ষে আহত ৮, ৭৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা
Leave a comment