ডেস্ক নিউজ : গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেমে থেমে দেশের কিছু এলাকায় পোশাক কারখানায় অসন্তোষ দেখা গেছে। এই অসন্তোষ নিরসন করে রপ্তানি আয়ের অন্যতম প্রধান খাতটিকে পুরোপুরি সচল করতে সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে।
এরই ফলশ্রুতিতে কর্মব্যস্ততা ফিরছে পোশাকশিল্পে। সরকারের একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, পোশাকশিল্পের ব্যবসায়ীদের সংগঠন বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত কারখানার সংখ্যা দুই হাজার ১১৯টি। এর মধ্যে আজ সোমবার (২৮ অক্টোবর) মোট দুই হাজার ১১৩টি কারখানা চালু আছে। আর বন্ধ রয়েছে ছয়টি কারখানা।
বন্ধ কারখানাগুলোর মধ্যে গাজীপুরের চারটি এবং সাভার-আশুলিয়ায় দুটি কারখানা রয়েছে। সূত্র মতে, সাভার-আশুলিয়ার ওই কারখানা দুটি শ্রম আইনের ১৩/১ ধারা মোতাবেক বন্ধ রাখা হয়েছে। এ দুটি হলো অন্জুমান ডিজাইন লিমিটেড ও জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশন লিমিটেড। অপরদিকে গাজীপুরে বন্ধ কারখানা চারটি হলো স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডিং সার্ভিসেস লিমিটেড, টিএনজেড অ্যাপারেল লিমিটেড, বেসিক ক্লোথিং লিমিটেড ও অ্যাপারেল প্লাস ইকো লিমিটেড।
সূত্রটি জানায়, চালু কারখানাগুলোর মধ্যে গাজীপুর ও ময়মনসিংহ এলাকায় ৮৭১টি, সাভার-আশুলিয়া এবং জিরানী এলাকায় ৩৯৭টি, নারায়ণগঞ্জ এলাকায় ২০০টি, ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় ৩০১টি এবং চট্টগ্রাম এলাকায় ৩৫০টি রয়েছে।
এদিকে পোশাক কারখানাগুলোর মধ্যে এখনো সেপ্টেম্বর মাসের বেতন দেয়নি ৩৩টি কারখানা। আগস্টেরও বেতন দেয়নি দুইটি কারখানা।