জন্মভূমি ডেস্ক : দেশের অনেক জায়গায় বইছে তাপপ্রবাহ। হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। হঠাৎ তাপমাত্রার উর্ধ্বগতি হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা অনেকাংশে বাড়িয়ে দেয়। এই সময়ে আমাদের সচেতন হওয়া উচিত। এর লক্ষণগুলো জেনে নিজে সচেতন থাকতে হবে এবং কাউকে আক্রান্ত হতে দেখলে সহায়তা করতে হবে। বিস্তারিত জেনে নিন এই আর্টিকেল থেকে।
চিকিৎসকেরা বলেন, হিট স্ট্রোক প্রতিরোধ করতে শরীর হাইড্রেট রাখার কোনো বিকল্প নেই। তাপমাত্রা বেশি হলে ঢিলেঢালা এবং হালকা রঙের পোশাক পরে ঘরের বাইরে যেতে হবে। সূর্যের আলো থেকে চোখকে রক্ষা করতে সানগ্লাস ব্যবহার করার। রোদে থাকতে হলে প্রতি দুই ঘণ্টা পর পর সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
এই রমজানের দিনে সেহরি থেকে ইফতার পর্যন্ত যেহেতু পানি পান করার সুযোগ নেই তাই ইফতারে পানীয় জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে। একবারে অনেক খাবার গ্রহণ না করে বার বার অল্প অল্প করে খেতে হবে। এই সময়ের মৌসুমী ফল- তরমুজ, লেবু, বাঙ্গি খেতে পারেন। গাড়ি নিয়ে বের হলে রোদে গাড়ি পার্ক করবেন না। প্রচণ্ড রোদে কাজ করতে হলে বার বার ছায়াযুক্ত স্থানে যেতে হবে এবং বিশ্রাম গ্রহণ করতে হবে। এই সময়ে ব্যায়াম সীমিত করতে হবে।
মায়ো ক্লিনিকের তথ্য অনুযায়ী হিট স্ট্রোকের লক্ষণগুলো হচ্ছে:
শরীরের তাপমাত্রা ১০৪ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে চলে যাওয়া
তীব্র মাথাব্যথা
প্রচণ্ড তৃষ্ণা
পানিশূন্যতা
দ্রুত হৃদস্পন্দন
শ্বাসকষ্ট
বমি বমি ভাব
প্রলাপ বকা
কথা জড়িয়ে যাওয়া
পেশিতে ব্যথা অনুভব করা
দুর্বলতা ও অজ্ঞান হয়ে যাওয়া
প্রচণ্ড গরমেও ঘাম না হওয়া।
কাউকে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হতে দেখলে কাছের ব্যক্তির করণীয়:
আক্রান্ত ব্যক্তিকে ছায়াযুক্ত স্থানে নিয়ে যান। পায়ের পাতা ভেজা কাপড় দিয়ে মুছে দিন। পুরো শরীর পানি ঠান্ডা পানি দিয়ে মুছে দিন। বরফের প্যাক বা ভেজা তোয়ালে দিয়ে আক্রান্ত ব্যক্তির মাথা, ঘাড়, বগল এবং কুঁচকি বার বার মুছুন।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত