
ডেস্ক রিপোর্ট : সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের একাংশ দাবি আদায়ে আন্দোলনের আরও কঠোর পথে হাঁটার ঘোষণা দিয়েছেন। সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ৩ ডিসেম্বরের মধ্যে চলমান তিন দফা দাবি বাস্তবায়নের বিষয়ে সুস্পষ্ট উদ্যোগ না এলে ৪ ডিসেম্বর থেকে সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘তালাবদ্ধ’ কর্মসূচি শুরু হবে। এতে স্কুল পরিচালনা কার্যক্রম পুরোপুরি স্থগিত থাকার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সংগঠন ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক মো. আনিসুর রহমান জানিয়েছেন, সহকারী শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি নিয়ে দীর্ঘদিন যোগাযোগ চললেও প্রত্যাশিত অগ্রগতি না হওয়ায় তারা বাধ্য হয়েই কঠোর কর্মসূচি দিচ্ছেন। তিনি বলেন, বার্ষিক পরীক্ষার সময়েও শিক্ষকেরা কর্মবিরতি পালন করছেন, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে।
এর আগে, সোমবার থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে বার্ষিক পরীক্ষা শুরুর কথা থাকলেও প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের ব্যানারে সহকারী শিক্ষকদের একাংশ তিন দফা দাবিতে কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের দাবি—ঘোষিত সময়ের মধ্যেই বাস্তব অগ্রগতি নিশ্চিত করতে হবে। সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত বার্ষিক পরীক্ষার তৃতীয় প্রান্তিক মূল্যায়ন বর্জন কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
সংগঠন ঐক্য পরিষদের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবি ৩ ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়নের উদ্যোগ না নিলে ৪ ডিসেম্বর থেকে দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তালাবদ্ধ কর্মসূচি কার্যকর করা হবে। এ কর্মসূচি সফল করতে সহকারী শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকদের একযোগে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতেও পরিস্থিতি শান্ত নয়। চার দফা দাবিতে মাধ্যমিকের শিক্ষকরা ১ ডিসেম্বর থেকে লাগাতার কর্মবিরতি শুরু করেছেন। ফলে সোমবার ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। পরীক্ষার দিন কেন্দ্র ঘুরে এসে অনেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
কিছু বিচ্ছিন্ন কেন্দ্রে কর্মচারীদের সহায়তায় সীমিত আকারে পরীক্ষা নেওয়া হলেও অধিকাংশ বিদ্যালয়ে পরীক্ষা সম্পূর্ণভাবে স্থগিত রয়েছে। চলমান অচলাবস্থা শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতি, পরীক্ষার সময়সূচি এবং অভিভাবকদের উদ্বেগকে আরও বাড়িয়ে তুলছে।
চলমান দুই স্তরের শিক্ষকদের সমান্তরাল আন্দোলনে দেশের স্কুলপর্যায়ের শিক্ষা ব্যবস্থায় চাপ বাড়ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

