জন্মভূমি ডেস্ক :মানহানির মামলায় দুই বছরের কারাদণ্ড হয় ভারতের সবচেয়ে পুরনো রাজনৈতিক দলের নেতা রাহুল গান্ধীর। দণ্ডের একদিন পরেই লোকসভায় তাকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে এমপি পদ হারালেন কংগ্রেসের এই শীর্ষ নেতা। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি।
গতকাল দুপুরে রাহুলকে অযোগ্য ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে লোকসভা সচিবালয়। রাহুলের নির্বাচনী এলাকার আসন শূন্য ঘোষণা করেছে। দেশটির নির্বাচন কমিশন এখন আসনটিতে বিশেষ নির্বাচন দিতে পারেন।
রাহুল কেরালার ওয়েনাড লোকসভা আসনের সদস্য। তাঁকে অযোগ্য ঘোষণা করাকে ‘ষড়যন্ত্র’ বলে আখ্যায়িত করছে কংগ্রেস। ওয়েনাডের এমপির মুখ বন্ধ করতেই এমনটি করা হচ্ছে বলে দাবি তাদের।
প্রজ্ঞাপনে লোকসভা সচিবালয় বলেন, ‘কেরালার ওয়েনাড সংসদীয় নির্বাচনী এলাকার প্রতিনিধিত্বকারী শ্রী রাহুল গান্ধী দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় আর্টিকেল ১০২(১)(ই) এর বিধান অনুসারে লোকসভার সদস্যপদ থেকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। ২০২৩ সালের ২৩ মার্চ থেকে তা কার্যকর হবে।’
ভারতের জনপ্রতিনিধিত্ব আইন, ১৯৫১-এর ৮(৩) ধারায় বলা হয়েছে, কোনো সংসদ সদস্য কোনো অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলে এবং কমপক্ষে দুবছরের সাজাপ্রাপ্ত হন, তখন তিনি সদস্য পদ হারাতে পারেন।
এদিক, রাজনৈতিক দল কংগ্রেসের ভেরিফাইড টুইটার পেজ থেকে এক পোস্টে বলা হয়, ‘রাহুল গান্ধীর লোকসভার সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে। তিনি আপনার ও দেশের জন্য পার্লামেন্ট থেকে শুরু করে রাস্তায় অনবরত লড়াই করে যাচ্ছেন। গণতন্ত্র রক্ষায় তিনি সব কিছু করছেন। তাঁর এই লড়াই চলবে।’ ২০১৯ সালে ভারতে লোকসভা নির্বাচনের সময় ওয়েনাডে এক নির্বাচনী জনসভায় পলাতক ব্যবসায়ী লোলিত মোদি ও নীরব মোদির নাম উল্লেখ করে তোপ দাগেন রাহুল। এসময় ভারত থেকে এ দুই ব্যবসায়ীর পালিয়ে যাওয়ার উদাহরণ টেনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ইঙ্গিত করে রাহুল বলেন ‘সব চোরের শেষে একই নাম-মোদি।’ এ ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মানহানি ও অবমাননার দায়ে মামলা করেন বিজেপি নেতা ও গুজরাটের তৎকালীন মন্ত্রী পুর্নেশ মোদি। ওই মামলায় গতকাল রাহুলকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেয় সুরাটের আদালত। তবে, সাজা দিলেও রাহুলকে এ মামলায় জামিন দেওয়ার পাশাপাশি রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার জন্য ৩০ দিনের সময় দিয়েছে আদালত।