আজ ১৪ জুলাই সাবেক রাষ্ট্রপতি জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। নভেল করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে এ কর্মসূচি পালন নিয়ে জাতীয় পার্টির কেদ্রীয় নেতা-কর্মী থেকে শুরু করে জেলা ও থানা পর্যায়ের নেতা কর্মীদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে বিভেদ-মতানৈক্য। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা চাইছেন, এইচ এম এরশাদের মৃত্যুবার্ষিকীতে ব্যাপকভাবে কাঙালি ভোজসহ মিলাদ মাহফিল এবং আলোচনাসভা করা হোক। এক্ষেত্রে অনেকটা বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে টাকা-পয়সার বিষয়টি।
জাতীয় পার্টির নীতি-নির্ধারকরা সাফ বলে দিয়েছেন জাতীয় পার্টিতে চলছে অর্থনৈতিক সংকট। ফলে এরশাদের মৃত্যুবর্ষিকী পালন করতে দল থেকে কোনো আর্থিক সহায়তা করা যাবে না। সারাদেশের জেলা ও থানা পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা তাদের নিজ নিজ সক্ষমতা অনুসারে এরশাদের মৃত্যুবার্ষিকী পালন করতে পারলে করবে। না হয় না।
ঢাকা মহানগরের একজন নেতা নাম গোপন রাখার শর্তে বলেন, পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের এরশাদ সাহেবের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করার জন্য মহানগরের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেননি। কেন বৈঠক কারেননি তা জানি না। তবে এতটুকু বলতে পারি জাতীয় পার্টিতে নেতৃত্বের অভাব। জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগে ডুবে গেছে। দলীয় এমপিরা রয়েছে সরকারের কাছ থেকে সুযোগ সুবিধা নেওয়া এবং তাদের নিজ নিজ আসন ঠিক রাখার চেষ্টায়।
ওই নেতা বলেন, দলটির মধ্যে এরশাদ প্রেমিকের খুবই অভাব। এরশাদের কোটি কোটি টাকা গেল কই? শুনতে পাচ্ছি সব টাকা নাকি এখন বিদিশা ও এরশাদ ট্রাস্টের লোকজনের আয়ত্তে।
এ সব বিষয় নিয়ে দলটির চেয়ারম্যানের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে দলটির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা জানান, এরশাদের মৃত্যুবার্ষিকী পালন করার বিষয়ে দলটির চেয়ারম্যান যা করছেন নিজে নিজেই করছেন। আমি কিছু জানি না। তিনি এরশাদ সাহেবের মৃত্যুবার্ষিকী পালন করার কর্মসূচি ঠিক করতে ওইভাবে কারও সঙ্গে বৈঠক করেননি। এ ছাড়া জাতীয় পার্টিতে অর্থ সংকটও রয়েছে। ফলে সারা দেশে এরশাদের মৃত্যুবার্ষিকী পালন করতে কোনো আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়নি।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত