
জন্মভূমি ডেস্ক : মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট ও সমমান পরীক্ষার চতুর্থ দিনে সর্বাধিক সংখ্যক পরীক্ষার্থী বহিষ্কার হয়েছে। নকল ও পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে এদিন দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মোট ১৩০ জন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে ৩৫ হাজার ৮৬৫ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন। গতকাল রবিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা শেষে বিকেলে এসব তথ্য জানায় আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি।
রবিবার সাধারণ ৯টি শিক্ষা বোর্ড ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র এবং মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে গণিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরীক্ষায় অনুপস্থিত শিক্ষার্থীর হার ছিল ১.৮৫ শতাংশ। আন্তঃসমন্বয় শিক্ষা বোর্ড থেকে এসব তথ্য জানানো হয়।
বহিষ্কৃত পরীক্ষার্থীদের মধ্যে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২৭ জন, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ৯ জন ও সাধারণ ৯টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ৯৪ জন শিক্ষার্থী ছিল। সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী বেশি ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে।
এদিকে পরীক্ষাকেন্দ্রে নকল সরবরাহের দায়ে চার শিক্ষককে আটক করা হয়েছে। বরগুনার তালতলীতে দাখিল পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে থেকে নকল সরবরাহ করার সময় তাদের আটক করা হয়। একই সময়ে দেশের বিভিন্ন কেন্দ্রে দায়িত্ব অবহেলার কারণে অন্তত ২২ শিক্ষককে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে।
এর মধ্যে বরগুনার আমতলীতে দাখিল পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে আট শিক্ষক, ফরিদপুরের সালথায় দাখিল পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে ছয় শিক্ষক, নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ বহুমুখী মডেল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে দুজন, নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে চারজন এবং ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার ধোলাইরচর বরকতিয়া আলিম মাদরাসা থেকে দুজন শিক্ষককে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।