
শহিদুল ইসলাম, সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় দেয়াড়া ইউনিয়নের ছলিমপুর এ,কে খান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে কমিটির সভাপতি কর্তৃক শিক্ষকদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উটেছে। এ কে খান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মাহফুজা সুলতানা রুবি বিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবুল হোসেনকে ছয়টি অপরাধে কারণ দর্শনের নোটিশ প্রদান করে গত ২৬ জুলাই। বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা কমে যাওয়ার বিষয়ে প্রধান শিক্ষকে ৭ দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়।
সভাপতি মাহফুজা সুলতানা রুবি গত বুধবার দুপুর ১২টায় বিদ্যালয়ের মিটিংয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবুল হোসেন নিজের ইচ্ছামতো প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছেন। তার বিরুদ্ধে অনিয়মের কারণ জানতে নোটিশ দেওয়া হলে তিনি সেখানে সভাপতিকে অপমানজনক বক্তব্য প্রদান করেছেন। সভাপতি মাহফুজা সুলতানা রুবি সাংবাদিকদের বলেন, এটা আমার নানার প্রতিষ্ঠান। যা এতদিন আমার মামা পরিচালনা করে আসছেন। আমি এটার সভাপতি হওয়ার পর থেকে শিক্ষকরা আমাকে কিছুই জানায় না। এখনো পর্যন্ত একটা মিটিং করতে পারেনি।
সরেজমিনে সাংবাদিকরা গেলে দেখাযায়, এসডিজি ডিজিটাল কর্নার, মুক্তিযোদ্ধা কর্নার, সংরক্ষিত বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চ ঐতিহাসিক ভাষণের ছবি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ছবি ও মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক জাতীয় গ্রাম্য চিত্র রাখার যায়গা করা হয়েছে সিঁড়ি ঘরে। বঙ্গবন্ধুর মতো একজন বাঙালি আবেগের যায়গা হয়নি কোনরুমে। কিছু বই সাজিয়ে গুছিয়ে রাখা হয়েছে সিঁড়ির উপরে যেন সেগুলো বইয়ের তাক। অপসারণ করে নৈশ প্রহরীকে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু ছবির পাশে নৈশ প্রহরীর টিভি দেখার ব্যবস্থাও আছে। বর্তমান সরকার যখন বিজ্ঞান প্রযুক্তি জন্য লক্ষ-লক্ষ টাকার উপকরণ দিয়েছে। সেখানে এসব পরে আছে সেইভাবে, এখনও কোন শিক্ষক বা ছাত্রের হাত দেওয়ার সুযোগ হয়নি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবুল হোসেন এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে সরব ভিত্তিহীন। সাবেক প্রধান শিক্ষক এ পর্যন্ত আমাকে খাতা-কাগজ বুঝে দেয়নি। এমনকি তিনি আমাদের শিক্ষকদের আলমারির চাবিও এখনো দেননি। সাবেক প্রধান শিক্ষক নিজে নৈশপ্রহরীকে এসডিজি ডিজিটাল কর্নার, মুক্তিযোদ্ধা কর্নার, সংরক্ষিত বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চ ঐতিহাসিক ভাষণের ছবি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ছবি ও মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক জাতীয় গ্রাম্য চিত্র অপসারণ করে থাকার ব্যাবস্থা করেন।
এ বিষয়ে অন্যান্য শিক্ষক, শিক্ষকা ও ছাত্র-ছাত্রী একই বক্তব্য প্রদান করেন। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করতে গেলে তার ফোন নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়।