ডেস্ক নিউজ : সরকারি টিকাদান কর্মসূচিতে বক্তব্যের শেষে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়া বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. জালাল উদ্দিন আহমেদকে রবিবার (৩ নভেম্বর) বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তার একদিন পরই তাকে অবসরে পাঠিয়ে আরেকটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
সোমবার (৪ নভেম্বর) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এম এ আকমল হোসেন আজাদ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে একথা জানানো হয়। এতে বলা হয়, যেহেতু, স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে বদলির আদেশাধীন বাগেরহাট জেলার সিভিল সার্জন ডা. জালাল-উদ্দিন আহমেদের চাকরিকাল ২৫ বছর পূর্ণ হয়েছে এবং যেহেতু সরকার জনস্বার্থে তাকে সরকারি চাকরি থেকে অবসর প্রদান করা প্রয়োজন বলে বিবেচনা করে, সেহেতু সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে তাকে সরকারি চাকরি থেকে অবসর দেওয়া হলো।
এতে আরও বলা হয়, তিনি বিধি অনুযায়ী অবসরজনিত সুবিধাদি প্রাপ্য হবেন। জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এর আগে রোববার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব শোভন রাংসা স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. জালাল উদ্দীন আহমেদ আবশ্যিকভাবে রবিবার (৩ নভেম্বর) থেকে অবমুক্ত হবেন। সোমবার (৪ নভেম্বর) ওএসডি হিসেবে স্বাস্থ্য অধিদফতরে যোগ দেবেন।
উল্লেখ্য, গত ২৪ অক্টোবর বেলা ১১টায় বাগেরহাট সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে জরায়ুমুখে ক্যানসার সৃষ্টিকারী হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) প্রতিরোধী টিকাদান কর্মসূচির অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল আহসানের উপস্থিতিতে বক্তব্য দেন সিভিল সার্জন ডা. জালাল উদ্দীন আহমেদ। বক্তব্যের শেষে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেন তিনি। সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সিভিল সার্জনের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ করেন স্থানীয়রা।
ওই দিন রাতেই বাগেরহাট জেলা বিএনপি ও যুবদলের নেতৃত্বে সিভিল সার্জনের অপসারণ দাবিতে দফায় দফায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়। পরে ২৭ অক্টোবর একই দাবিতে ‘সচেতন বাগেরহাটবাসী’র ব্যানারে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।