
জন্মভূমি ডেস্ক : সম্প্রতি বিধ্বস্ত হওয়া বিমানের ধ্বংসাবশেষ থেকে দশজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে রাশিয়া। তাদের মধ্যে ওয়াগনার গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ইয়েভগেনি প্রিগোশিনের মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির তদন্তকারীরা। জেনেটিক পরীক্ষার মাধ্যমে এসব মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়েছে।
আজ রবিবার বাংলাদেশ সময় দুপুরে এক প্রতিবেদনে এমন খবর দিয়েছে রাশিয়ার বার্তা সংস্থা স্পুত্নিক। খবরে বলা হয়েছে, রাশিয়ার তদন্ত কমিটি জানিয়েছে, বিধ্বস্ত বিমান থেকে উদ্ধার করা দশজনের মৃতদেহের মধ্যে প্রিগোশিন ও ওয়াগনার বাহিনীর ডেপুটি কমান্ডারের লাশ শনাক্ত করা হয়েছে।
গত বুধবার রাশিয়ার টাভার অঞ্চলে প্রিগোশিনসহ সাতজন যাত্রী এবং তিন জন ক্রু নিয়ে একটি ব্যক্তিগত বিমান বিধ্বস্ত হয়। তদন্ত কমিটিসহ রাশিয়ান বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
এর আগে শনিবার রাশিয়ার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিধ্বস্ত বিমান থেকে দশজনের দেহাবশেষ উদ্ধারের কথা জানিয়েছিল। তারা জানিয়েছিলেন যে, জেনেটিক পরীক্ষার মাধ্যমে মৃতদেহগুলো শনাক্ত করা হবে।
বুধবার মস্কোর উত্তরে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। বিমানটি বোমা বা ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বিধ্বস্ত হয়েছে, এমন জল্পনা ডালপালা মেলেছে। কেউ কেউ পুতিনের বিরুদ্ধে প্রিগোশিনকে হত্যার অভিযোগও করেছেন।
তবে এমন দাবি ও অভিযোগ ‘পুরোপুরি মিথ্যা’ বলে বিবিসিকে জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভ।
এক সময় পুতিনের খুবই ঘনিষ্ঠজনদের একজন ছিলেন প্রিগোশিন। তার ডাক নাম ছিল ‘পুতিনস শেফ’। বছরের পর বছর ধরে প্রিগোশিনের সেবা পেয়েছেন পুতিন। কিন্তু তাদের সেই সম্পর্ক টুটে যায় গত জুনে প্রিগোশিনের নেতৃত্বে কয়েক হাজার ওয়াগনার যোদ্ধার বিদ্রোহের মধ্য দিয়ে।
প্রিগোশিনের মৃত্যুর পর এ বিষয়ে মন্তব্য করেছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে পুতিন বলেন, প্রিগোশিনের সঙ্গে আমার পরিচয়, জানাশোনা বহুদিনের। ৯০ দশকের শুরুর দিকে তার সঙ্গে আমার পরিচয় হয়েছিল। নিজের জীবনে তিনি মারাত্মক কিছু ভুল করেছিলেন এবং সেসবের ফলও পেয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, কুঝেনকিনো অঞ্চলে বিমান দুর্ঘটনায় যাদের মৃত্যু হয়েছে, তাদের সবার পরিবারের সদস্যদের প্রতি আমি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। এটা খুবই হৃদয়বিদারক একটি দুর্ঘটনা ছিল।
বিধ্বস্ত হওয়া এমব্রায়ার লিগ্যাসি ৬০০ জেট বিমানটির আরোহীদের মধ্যে ওয়াগনার প্রধান প্রিগোজিন ও তার প্রধান সহচর দিমিত্রি ইউতকিনের পাশাপাশি আরও পাঁচ যাত্রী ও তিন ক্রু ছিলেন।