এম সাইফুল ইসলাম : কেসিসির ১১নং ওয়ার্ড। বর্তমানে ২৫ হাজারেরও বেশি বসতি এ ওয়ার্ডে। মোট আয়তন ৪ দশমিক ৪৮ বর্গ কিলোমিটার। নির্বাচনি দামামা বেজে উঠলে একাধিক প্রার্থী ভোটের লড়াইয়ে মাঠে নামেন। যাদের মধ্যে রয়েছে প্রবীন মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক ও রাজনৈতিক নেতা। তবে ওয়ার্ডবাসী জানায় মডেল ওয়ার্ড যে উপহার দিতে পারবে আমরা তাকেই ভোট দিবো।
পিপলস নিউ কলোনিতে ৩৬৪ পরিবারের বাস। তবে ওই সব পরিবারের কারও কোনো হোল্ডিং নম্বর নেই। এ কারণে কারও নিজের বিদ্যুতের মিটারও নেই। অন্যের থেকে বেশি মূল্য পরিশোধ করে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করতে হয়েছে তাঁদের। একই কারণে ওয়াসার সংযোগ না পৌঁছায় পানি নিয়েও তাঁদের দুর্গতি চরমে। তবে অবকাঠামো উন্নয়নে পাল্টে গেছে এলাকা দাবী করছেন ১১ নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর।
জানা গেছে, ওয়ার্ডের পূর্বদিকে বিআইডিসি রোড এবং ১৩ ও ৮নং ওয়ার্ড, পশ্চিমে শিশু পার্ক রোড এবং ১০নং ওয়ার্ড, উত্তরে বিআইডিসি রোড এবং ৮নং ওয়ার্ড এবং দক্ষিণে রয়েছে খালিশপুর নিউমার্কেট রোড এবং ১২নং ওয়ার্ড।
এ ওয়ার্ডে রয়েছে বাংলাদেশ টেলিভিশনের উপকেন্দ্র ওয়ান্ডারল্যান্ড শিশু পার্ক, টিএন্ডটি অফিস, খালিশপুর ফায়ার সার্ভিস, সঞ্চয়িতা পুলিশ ফাঁড়ি, ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট, আরবান প্রাইমারী হেল্থ কেয়ার, বর্জ্য অপসরণ পয়েন্ট, প্লাটিনাম শ্রমিক কলোনী, পিপলস কলোনী, খালিশপুর ঈদগাহ ময়দান, খালিশপুর নিউমার্কেট।
ওয়ার্ডের হেভিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে সাংবাদিক মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম কাজল। তিনি জানান, আমি মনে করি এলাকাবাসীর প্রতি আমার সামাজিক দায়বদ্ধতা রয়েছে। ফলে তাদের জন্য আমাকে কিছু করতে হবে। আমি দীর্ঘদিন খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম, সভাপতি ছিলাম। এখনও পেশাগত জয়াগায় থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছি।
আগে এই এলাকায় কোনো মানুষ মারা গেলে তাকে গোসল দিতে অনেক দূরে নিয়ে যেতে হতো। আমি এলাকার মুরব্বিদের সহায়তায় মসজিদে তৈয়েবা সংলগ্ন মুর্দাখানাটি সংস্কার করেছি। সেখানে মুর্দা গোসলের উপযোগী করে গড়ে তুলেছি। এছাড়া দাফন-কাফনেরও সার্বিক ব্যবস্থাও করে থাকি।
যুব নেতা কাজী নেয়ামুল হক মিঠু জানান, মাদকের নীরব বাণিজ্য চলছে। এ জন্য অবশ্য আমরাই দায়ি। এ ওয়ার্ডের সকল উন্নয়ন বা কার্যক্রম শুধুমাত্র ৫তলা কেন্দ্রিক। এ ওয়ার্ডে ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন করা দরকার। সর্বোপরি এলাকার সকল উন্নয়নই হবে আমার কাজ।
১১নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর বীর মুক্তিযোদ্ধা মুন্সি আব্দুল ওয়াদুদ জানান, এলাকার রাস্তাঘাট, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হয়েছে। কিছু কাজ চলমান রয়েছে। এলাকার সার্বিক উন্নয়ন হয়েছে। আমি সততার সাথে কাজ করার চেষ্টা করছি। এখন এ এলাকায় মাদক অনেকটাই নির্মূল হয়েছে।
মোঃ আবুল কালাম আজাদ কাজল জানান, বর্তমান কাউন্সিলর শুধুমাত্র একটি এলাকা কেন্দ্রিক কাজ করে। অধিকাংশ ত্রাণ সহায়তা প্রকৃত দরিদ্ররা পাচ্ছে না। ঘরোয়া, আত্মীয়করণ এবং এক কেন্দ্রিক তার সকল সেবা। ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন, মশক নিধন, পরিচ্ছন্ন ওয়ার্ড নির্মাণ করতে চাই।
আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ জামান মোল্যা জেলিম জানান, এই ওয়ার্ডে নাগরিক সেবা বলতে কিছুই নেই। রয়েছে মাদকের ব্যাপকতা ও কিশোর গ্যাং। আমি ছাত্রলীগ-যুবলীগ থেকে এখন আওয়ামী লীগে রয়েছি। আমি এলাকাবাসীকে সেবা দিয়ে মন জয় করতে চাই। মোঃ নাইমুল ইসলাম (খালেদ) জানান, আমি নির্বাচিত হলে বিনামূল্যে সকল নাগরিক সেবা প্রদান করব। সকল নাগরিক সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিব। বাড়ি বাড়ি থেকে বর্জ্য বিনামূল্যে সংগ্রহ করব। মাদক নির্মূলে কাজ করব। এলাকাভিত্তিক নৈশ প্রহরীর ব্যবস্থা করব। এলাকাভিত্তিক উন্নয়ন কমিটি তৈরি করব।