
এম সাইফুল ইসলাম : নগরীর ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে মাদক নিয়ন্ত্রণ, মশক নিধন, রাস্তাঘাটের উন্নয়ন এবং সুপেয় পানির চাহিদা পূরণসহ নানা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড হয়েছে বলে জানিয়েছেন বর্তমান কাউন্সিলর। তবে ওয়ার্ডবাসীর দাবি কমিউনিটি সেন্টারসহ একটি পরিকল্পিত মডেল ওয়ার্ড।
নগরীর ১৫নং ওয়ার্ডের জনসংখ্যা প্রায় ৪৫ হাজার। এ ওয়ার্ডের পূর্বদিকে নেভি ক্যাম্প, পশ্চিমে জংশন রেলওয়ে, উত্তরে আলমনগর বাজার এবং দক্ষিণে রয়েছে জোড়াগেট। এ ওয়ার্ডে রয়েছে নেভি ক্যাম্প, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ, রুজভেল্ট জেটি, খুলনা ওয়াসা, কাস্টম অফিস, বিএসটিআই, খুলনা পলিটেকনিক কলেজ, যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ ব্যুরো।
ওয়ার্ডে নেই নিজস্ব কার্যালয়-কাম কমিউনিটি সেন্টার। এটা এখন ওয়ার্ডবাসীর প্রথম দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া সুপেয় পানি ও স্থায়ী ডাষ্টবিনেরও দাবি এলাকার বাসিন্দাদের। এ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়ন কিনেছেন তিন জন। যার মধ্যে রয়েছে বর্তমান কাউন্সিলর ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা মোঃ আমিনুল ইসলাম মুন্না, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা ও আইডিইবি’র জেলা সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলি মাহাবুবুর রহমান শামিম। এছাড়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা সমীর কুমার দত্ত মনোনয়ন কিনেছেন।
বর্তমান কাউন্সিলর মোঃ আমিনুল ইসলাম মুন্না জানান, আমার দেয়া গত নির্বাচনে প্রতিশ্রুতির আশি শতাংশ বাস্তবায়ন করেছি। প্রতিটি অলিগলিসহ সকল সড়কে সড়কবাতি স্থাপন করা হয়েছে। ওয়ার্ডবাসীর সুপেয় পানির চাহিদা মেটানোর জন্য ৬টি স্থানে পানির ফিল্টার স্থাপন করা হয়েছে। এসব ফিল্টারের যাবতীয় খরচ আমি নিজে থেকেই দিয়ে থাকি। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ করে নতুনভাবে উন্নয়নের কথা ভাবছেন বলে জানান বর্তমান কাউন্সিলর।
প্রকৌশলী মাহাবুবুর রহমান শামিম জানান, এ ওয়ার্ডের অধিকাংশ মানুষ চায় পরিবর্তন। এলাকাটা এখন নোংরা, অপরিষ্কারের স্তূপে পরিণত হয়েছে। সকল অনুদান বিতরণে স্বচ্ছতার সাথে কাজ করব। সকল নাগরিক সেবা বিনামূল্যে প্রদান করব। পয়:নিষ্কাশন ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। সন্ত্রাস মাদকমুক্ত একটি মডেল ও ম্মার্ট ওয়ার্ড তৈরি করবো আমি। তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ ইন্ডিয়া প্রফেশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্টের উপদেষ্টা আমি। আমি এ প্রতিষ্ঠান থেকে ২০১৯ সালে প্রায় ৮ থেকে ৯শ’ যুবকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছি। আমি নির্বাচিত হলে এর সংখ্যা আরও বাড়াবো। নির্বাচনে অপর প্রার্থী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা সমীর কুমার দত্তর ব্যাপারে ওয়ার্ডে গুঞ্জন রয়েছে যে, সে কোন প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবে।