
এম সাইফুল ইসলাম : শিক্ষা জোন খ্যাত নগরীর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডকে নতুন রূপে সাজানোর স্বপ্ন দেখছেন বর্তমান কাউন্সিলর এবং সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থীরা। একই সাথে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করতে চায় তারা। তবে ওয়ার্ডবাসীর দাবি জলাবদ্ধতা নিরসন করে মাদকমুক্ত মডেল ওয়ার্ড তৈরি।
শিক্ষা জোন হিসেবে পরিচিত এই ওয়ার্ডে নেই খেলার মাঠ। প্রয়োজন একটি বড় কবরখানা। এছাড়া পাবলিক টয়লেটের অভাব রয়েছে। সুপেয় পানির সংকট রয়েছে। স্থায়ী ডাষ্টবিন নেই ওয়ার্ডে। এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি মাদক। ওয়ার্ডের রায়েরমহল এলাকার বাসিন্দারা জানান, চৈত্রের খরতাপেও এ এলাকার কিছু কিছু জায়গায় জলাবদ্ধ থাকে। এছাড়া এ এলাকায় তুলনামূলক রাস্তাঘাটের সংস্কার নেই বলেও জানান তারা।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, ওয়ার্ডে নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়েছে বর্তমান কাউন্সিলরসহ নয়জন। তারা হলেন, বর্তমান কাউন্সিলর এবং কেসিসি’র সাবেক প্যানেল মেয়র মোঃ আনিছুর রহমান বিশ্বাষ, আওয়ামী লীগ’র ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক শেখ হাসান ইফতেখার চালু, মোঃ হায়দার বিশ^াস ও মল্লিক আসাদুজ্জামান, কাউন্সিলর মোঃ আনিছুর রহমান বিশ্বাসের সহধর্মীনী তাহেরা খাতুন, মোঃ হাবিবুর রহমান, শেখ রাজা, মোঃ ময়েনউদ্দীন শেখ ও মোঃ শামীম শেখ।
জানা গেছে, এ ওয়ার্ডের পূর্বদিকে জোড়াগেট বাজার, পশ্চিমে রায়েরমহল হামিদনগর, উত্তরে জলিল সরণি এবং দক্ষিণে রয়েছে ক্ষুদের খাল। এ ওয়ার্ডের মধ্যে রয়েছে বিভাগীয় কমিশনারের অফিস, পরিবেশ অধিদপ্তর, বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিস, কর ভবন, বয়রা সার্কিট হাউজ, স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয়, কর্মজীবী মহিলা হোস্টেল, টিএন্ডটি কলোনী, বাংলাদেশ বেতার খুলনা, ফায়ার সার্ভিস, দুর্নীতি দমন কমিশনের কার্যালয়, এজি অফিস, ডিসিএ, ডায়াবেটিক হাসপাতাল, সড়ক ভবন, আঞ্চলিক লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।
১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর এবং কেসিসি’র সাবেক প্যানেল মেয়র মোঃ আনিছুর রহমান বিশ্বাষ জানান, এ ওয়ার্ডে ব্যাপক উন্নয়ন কাজ হয়েছে এবং অনেক কাজ চলমান রয়েছে। এ ওয়ার্ডের মধ্যে অর্থাৎ যশোর রোডের পাশ দিয়ে একটি বড় ড্রেন প্রয়োজন। সেটি রাস্তা বর্ধিত করতে হলে বর্ধিত করতে হবে। এরপরই বড় ড্রেনটি করা প্রয়োজন। তাহলে শুধু ১৬ নম্বর ওয়ার্ড নয়। আরও কয়েকটি ওয়ার্ডের জলাবদ্ধতা নিরসন হবে। এরই মধ্যে ময়ূর নদ, ক্ষুদের খাল খনন চলমান। এই কাজ শেষ হলে খুলনাবাসী অনেক উপকৃত হবে। উন্নয়নের দিক থেকে ৫ বছর খুব কম সময়। করোনার কারণে উন্নয়ন কাজ অনেক স্লো হয়ে যায়। তারপর মালামালেরও দাম অনেকাংশে বেড়ে গেছে। তারপরও আমরা নির্বাচনী যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম তা পূরণ হয়ে যাবে।
কেসিসি’র সাবেক কাউন্সিলর পুত্র ও আওয়ামী লীগ নেতা শেখ হাসান ইফতেখার চালু জানান, আমি নির্বাচিত হলে আমার প্রিয় জন্মস্থানকে মডেল ওয়ার্ডের রূপ দিব। পরবর্তী প্রজন্মকে একটি সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন ওয়ার্ড উপহার দিতে চাই। আমাদের এই ১৬ নম্বর ওয়ার্ডটিকে শিক্ষা জোন বলা হয়। সেই মানও আমাদের ধরে রাখতে হবে। এই ওয়ার্ডকে ঘিরে আমার বেশ কিছু উন্নয়নমুখি পরিকল্পনা রয়েছে। দলের দুঃসময়ে আমার পিতা, আমার পরিবার এবং আমি দলের পাশে ছিলাম। আজও আছি এবং আগামীতেও থাকব।
স্বতন্ত্রপ্রার্থী মোঃ হায়দার বিশ^াস বলেন, আমি নির্বাচিত হলে নাগরিক সেবা ওয়ার্ডবাসীর দোরগোড়ায় পৌছে দেবো। এই ওয়ার্ডের মানুষের প্রধান চাওয়া খেলার মাঠ ও একটি বড় কবরখানা । স্বতন্ত্রপ্রার্থী মল্লিক আসাদুজ্জামান জানান, ওয়ার্ডবাসীর আশা আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটাতে আমার নির্বাচনে অংশগ্রহণ। আমি নির্বাচিত হলে ওয়ার্ডের সকল সমস্যা সমাধান করে একটি মডেল ওয়ার্ড তৈরি করবো।

