
মাদক ও জলাবদ্ধ মুক্ত মডেল ওয়ার্ড দাবি ওয়ার্ডবাসীর
এম সাইফুল ইসলাম : নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের উন্নয়নে গত ৫ বছরে কাজ হয়েছে ৭০ কোটির টাকার। যা সিটি কর্পোরেশন হওয়ার পর এই প্রথম বলে মনে করছেন, ৩৬ বছর ধরে একাটানা টিকে থাকা কাউন্সিলর। যদিও আসন্ন নির্বাচনে ওয়ার্ডবাসীর দাবি মাদক ও জলাবদ্ধ মুক্ত মডেল ওয়ার্ড।
জানা যায়, খুলনা সিটি কর্পোরেশন এলাকার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে প্রায় ৩০ হাজার ভোটার রয়েছে। ১২ হাজারের বেশি হোল্ডিং। ছোট-বড় রাস্তা, গলি রয়েছে ২২৫টি। জনগুরুত্বপূর্ণ অনেক স্থাপনা রয়েছে এ ওয়ার্ডে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রমতে এ ওয়ার্ডে মোট প্রার্থী পাঁচজন। তারা হলেন বর্তমান কাউন্সিলর হাফিজুর রহমান হাফিজ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইউসুফ আলী খান, ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মোঃ আব্দুর রশিদ। এছাড়া রয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ মোবারক খান সুমন ও মোঃ শামীম পারভেজ। তবে বৃহস্পতিবার মনোনয়ন যাচাই বাছাইয়ে প্রার্থীতা বাতিল হয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইউসুফ আলী খানের। এনিয়ে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইউসুফ আলী খান বলেন, আমি প্রার্থীতা ফিরে পেতে আপিল করবো।
বর্তমান কাউন্সিলর হাফিজুর রহমান হাফিজ জানান, নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে গত বছরে ৭০ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ হয়েছে। এই ওয়ার্ডে এখনও বেশ কিছু উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। সেই কাজগুলো শেষ হলে আমি নিজেই তৃপ্তি পাব। করোনার কারণে আমরা অনেকটা পিছিয়ে গেছি। তারপরও আমি নিউটার্ন ক্লিন ও স্মার্ট সিটির স্বপ্ন দেখি।
নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইউসুফ আলী খান জানান, এ ওয়ার্ডটি অনেক বড়। অনেক কাজ চলমান রয়েছে। উন্নয়নের জন্য কিছু জনভোগান্তি রয়েছে। এলাকায় মাদকের কয়েকটি স্পট রয়েছে। আমি দায়িত্ব পেলে জন ভোগান্তি কমিয়ে একটি মডেল ওয়ার্ড তৈরি করবো।
ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর সাধারণ সম্পাদক ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মোঃ আব্দুর রশিদ জানান, এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে ওয়ার্ডে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে চাই। ওয়ার্ড দুর্নীতিমুক্ত ও ন্যায় পরায়ণতা প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আমি মনে করি জনগণের ভোট আমার কাছে পবিত্র আমানত। আমি একজন আমানতদার হিসেবে সেই আমানত রক্ষার জোর চেষ্টা করব।