এম সাইফুল ইসলাম : কেসিসি এর ২৬ নম্বর ওয়ার্ড। ওয়ার্ডটির আয়তন প্রায় ১ বর্গ কিলোমিটার। লোক সংখ্যা প্রায় ২৪ হাজার ৪শ’ ২৫ জন। ওয়ার্ডের দক্ষিণে শের এ বাংলা রোড, উত্তরে হাজী ইসমাইল রোড, পশ্চিমে বানরগাতী এক্সটেনশন রোড এবং পূর্বে রয়েছে শের এ বাংলা রোড।
এ ওয়ার্ডটিকে সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরা দ্বারা পর্যক্ষণ করা হয়। ফলে ওয়ার্ডটিতে বসবাসরত মানুষেরা বিশেষ নিরাপত্তা বেষ্টনীতে থাকে বলে জানান বর্তমান কাউন্সিলর মোঃ গোলাম মাওলা শানু। অন্যদিকে এই ওয়ার্ডটিকে স্মার্ট ও মডেল ওয়ার্ড নির্মাণ করতে চায় সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থীরা।
২৬ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর মোঃ গোলাম মাওলা শানু জানান, এটি একটি শান্তিপূর্ণ ওয়ার্ড। এলাকার মানুষের সুপেয় পানির চাহিদা মেটাতে ২৩টি স্থানে সাবমার্সেবল স্থাপন করেছি। খুলনা সিটির মধ্যে এটিই একমাত্র ওয়ার্ড, যে ওয়ার্ডটি সিসি ক্যামেরা দ্বারা পরিবেষ্টিত। এ ওয়ার্ডে ৩২০টি স্থানে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। যা সার্বক্ষণিক তদারকি করা হচ্ছে। এলাকার ১৮৭৫টি পরিবারকে টিসিবি’র মাধ্যমে মাসে দু’বার নিত্যপণ্য দেয়া হয়ে থাকে। উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। সার্বিক নিরাপত্তার জন্য এলাকায় নাইটগার্ড মোতায়নের ইচ্ছা রয়েছে। এলাকায় একটি খেলার মাঠ নির্মাণ করতে চাই। এলাকার আন্দির পুকুরকে খনন করে আধুনিকায়ন করার চেষ্টা চলছে। যেখানে নারী-পুর”ষের জন্য আলাদা ঘাট থাকবে। এক কথায় দৃষ্টিনন্দন করা হবে। আগামীতে এলাকার ফুটপাতগুলোকে দখলমুক্ত করে সেখানে মানুষের চলাচলের উপযোগী করা হবে। সড়কবাতির আধুনিকায়ন করা হবে। আমি নাগরিক সেবা অক্ষুণ্ন রেখেছি। আগামীতে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে সুখে, দুঃখে এলাকাবাসীর পাশে থাকতে চাই।
২৬ নম্বর ওয়ার্ড ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সভাপতি আকবর আলী পাঠান জানান, জনগণের জীবনমানের উন্নয়নকল্পে সকল নাগরিক সেবা ওয়ার্ডবাসীকে পৌঁছে দিতে আমি প্রতিজ্ঞ। ক্ষমতা কুক্ষিগত হওয়ায় এলাকার মানুষ আজ স্থায়ী জিম্মি হয়ে পড়েছে। ফলে জবাবদিহিতা কমে গেছে এখানে। একারণে মানুষ সকল প্রকার অন্যায় সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে। অর্থের অভাবে ওয়ার্ডের গরিব, দুঃখীরা শিক্ষা, চিকিৎসা থেকে ছিটকে পড়ছে। ফলে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছে। যা দেখার কেউ নেই। এখানে প্রতিটি পদে পদে দুর্নীতি ছেয়ে গেছে। তাই ওয়ার্ডের উন্নয়ন হতে গেলে, চুরি রুখতে গেলে ইসলামী ভাবধারার বিকল্প নেই। তাই এ ওয়ার্ড ও জনগণের কল্যাণে আমি কাজ করতে চাই।