এম সাইফুল ইসলাম : পয়:নিষ্কাষন ও পানি সঙ্কট নিরসনে উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানান এই ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর ফকির মোঃ সাইফুল ইসলাম। অন্যদিকে ড্রেনেজ সমস্যা, মাদক, জলাবদ্ধতা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাব রয়েছে বলে মনে করেন সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থীরা।
জানা যায়, খুলনা সিটি করপোরেশনের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডটিতে প্রায় ১৪ হাজার ভোটার রয়েছে। এই ওয়ার্ডের দক্ষিণে খান জাহান আলী সড়ক, উত্তরে সাউথ সেন্ট্রাল রোড, পশ্চিমে বাবুখান রোড এবং পূর্বে রূপসা স্ট্র্যান্ড রোড অবস্থিত।
২৯ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর ও সদর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, এই ওয়ার্ডের মূল ৮টি সড়কে কাজ চলছে। ড্রেনের কাজও প্রায় শেষ। আশা করছি আগামী ২ মাসের মধ্যে বাকিগুলো শেষ হবে। অলিগলির কাজও প্রায় শেষ। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজ অন্য ওয়ার্ডের থেকে অনেক ভালো। এখন আর কেউ যত্রতত্র ময়লা ফেলে না বা কোথাও পাওয়া যাবে না। এলাকায় সুপেয় পানির সঙ্কট নিরসনে চারটি স্থানে সাবমার্সেবল পাম্প স্থাপন করেছি। এসব জায়গা থেকে বহু মানুষ উপকৃত হচ্ছে। আরও কয়েকটি স্থানে নতুন করে সাবমার্সেবল পাম্প স্থাপনের চেষ্টা করছি। ড্রেনের কাজগুলোও শেষের পথে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থাও বর্তমানে অনেক ভালো। এলাকার সড়ক বাতিগুলো আমি নিজেই তদারকি করি। জন্মনিবন্ধন এবং নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে যুগোপযোগী উদ্যোগ নিয়েছি। ফলে জনগণ উপকৃত হচ্ছে। ভালো ব্যবহার, ভালো আচরণের সাথে দ্র”ততার সাথে নাগরিক সেবা নিশ্চিত করেছি। আমি মনে করি, সেবার দিক থেকে কেসিসি’র মধ্যে এই ওয়ার্ড সেরা। ভাসমান কিছু মাদক রয়েছে। সেগুলোকে প্রতিহত করতে প্রশাসনের সহায়তায় চেষ্টা করছি। করোনার সময় প্রধানমন্ত্রী, মেয়র, এমপি সেখ জুয়েল, বাবুল রানা বিভিন্নভাবে এই ওয়ার্ডের মানুষের জন্য সহায়তায় এগিয়ে এসেছিলেন। আমরা এলাকার ঘরে ঘরে সেইসব সহায়তা পৌঁছে দিয়েছি। যার ফলে এলাকার জনগণ শতভাগ উপকৃত হয়েছে। আমি অনলাইনেও ফোন নম্বর দিয়েছিলাম। যে যখন ফোন করেছে, আমরা চেষ্টা করেছি গোপনে খাবার, সহায়তা পৌঁছে দিয়েছি। সেই সময় জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা ছিল। আমার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জনগণের সেবা ও সহায়তায় কাজ করেছি। ওই সময় আমি নিজেও করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলাম। ওএমএস, টিসিবি একই পদ্ধতিতে বিতরণ করছি। করোনা টিকাগুলোও আমরা সুন্দরভাবে দিতে পেরেছি। যার ফলে এই ওয়ার্ডে করোনার প্রভাবটা কম ছিল। বিভিন্ন দুর্যোগ বা সঙ্কটে আমি সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছি। ক্রীড়া প্রতিযোগিতাও অব্যাহত রেখেছি।
প্রজন্ম একাত্তর এর বিভাগীয় প্রধান এবং মহানগর যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি নাহিদুজ্জামান জানান, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা শহিদ পরিবারের সন্তান। আমার সর্বধা মুক্তিযদ্ধের চেতনা ধারণ করি। আমি এই ওয়ার্ডটি মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত করতে সর্বাত্তক চেষ্টা করবো। এ ওয়ার্ডে জলাবদ্ধতা রয়েছে প্রধান সমস্যা, যা থেকে ওয়ার্ডবাসি মুক্তি চায়। ওয়ার্ডের প্রতিটি বাড়ি থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। সেজন্য বাড়ি বাড়ি থেকে টাকাও নেয়া হচ্ছে। অন্যদিকে কেসিসি থেকেও এই বাবদ টেন্ডারের মাধ্যমে টাকা নেয়া হচ্ছে। টিসিবি এবং ওএমএস এর কার্ড বিতরণে আত্মীয়করণ করা হয়েছে। এখানে মাদক, জুয়ার বোর্ড, জমি দখল এগুলো বৃদ্ধি পেয়েছে। জলাবদ্ধতা রয়েছে। আমি নির্বাচিত হলে এগুলো নিরসনে কাজ করব। জনগণ যাতে তাদের প্রাপ্য অধিকার নিয়ে সুখে, শান্তিতে বসবাস করতে পারে বা আমরা সকলেই যাতে একটি পরিবারের মতো করে বসবাস করতে পারি। সেই কাজটি করব। আমি এলাকাবাসীর উন্নয়নে কাজ করতে চাই।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত