
এম সাইফুল ইসলাম : মাদক, জলাবদ্ধতা, মশা আর কিশোর গ্যাং’র উৎপাত রয়েছে খুলনা কেসিসির ২নং ওয়ার্ডে। এসব বিষয়ে বরাবরের মতো জনপ্রতিনিধিরা উদাসীন বলে জানান ওয়ার্ডবাসী। এরই মধ্যে বইছে নগরজুড়ে নির্বাচনি হাওয়া। আলোচনায় রয়েছে বর্তমান কাউন্সিলরসহ ছয় জন। যাদের ওয়ার্ডবাসীর প্রত্যাশা মাদক ও জলাবদ্ধতা মুক্ত মডেল ওয়ার্ড।
জানা যায়, নগরীর নগরঘাট থেকে বেলঘাট, সোনালী জুট মিল, এ্যাজাক্স জুট মিল, আরআরএফ, পিটিসি, টিবি হাসপাতাল, আইডি হাসপাতাল, বিভাগীয় খাদ্য গুদাম এলাকা নিয়ে ২নং ওয়ার্ডের অবস্থান। এখানে জনসংখ্যা রয়েছে ২৬ সহস্রাধিক। এ ওয়ার্ডে ভোট কেন্দ্র ৫টি। নাগরিক বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের আশ^াস দিয়ে মাঠে রয়েছেন ছয় প্রার্থী। তারা হলেন বর্তমান কাউন্সিলর মোঃ সাইফুল ইসলাম, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ শাহাবুদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক এসএম মনির”জ্জামান মুকুল, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এবং গত নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থী শাকিল আহমেদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এফএম জাহিদ হাসান জাকির।
উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে এলাকার মানুষের বেকারত্ব দূরীকরণ, রাস্তাঘাট সংস্কার, শিক্ষার প্রসার, জলাবদ্ধতার নিরসন এবং জনগণের পাশে থেকে উন্নয়নের কথা ভাবছেন বিএনপি নেতা ও বর্তমান কাউন্সিলর মোঃ সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, দল আমাকেই মনোনয়ন দিবে এটি আমি বিশ্বাস করি। শত প্রতিকুলতার মধ্যে আমি যেভাবে কাজ করেছি তাতে এলাকার মানুষ আমাকে ভোট দিবে। আমাকে মানুষ সবসময় পাশে পায়, তাদের প্রয়োজনে আমি হাজির হই তাদের পাশে।
ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ শাহাবুদ্দিন আহমেদ জানান, আমাদের এ ওয়ার্ডের অধিকাংশ মানুষই শ্রমিক। আর আমি একজন শ্রমিক নেতা। শ্রমিকদের সমস্যা আমি বুঝি। এ ওয়ার্ডটাকে আমি নিজের মতো করে সাজাতে চাই। মানুষের দুঃখ, দুর্দশায় পাশে থাকতে চাই।
ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক এসএম মনির”জ্জামান মুকুল জানান, এ ওয়ার্ড শ্রমিক এলাকা। সাড়ে ৯ হাজারের বেশি ভোটার রয়েছে এখানে। আমি স্থানীয় ছেলে। ফলে এলাকাবাসীর সাথে আমার বোঝাপড়াটা ভালো। এ ওয়ার্ডে ২৭টি ছোট বড় সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সেগুলোর উন্নয়নে আমি কাজ করতে চাই। আমি কাউন্সিলর হলে এলাকার অবহেলিত মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়াব।
ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক এফএম জাহিদ হাসান জাকির জানান, এলাকার মাদক নির্মূলে আমরা কোনোদিন আপোস করিনি। আমি মনে করি বর্তমান কাউন্সিলর সম্পূর্ণ ব্যর্থ। সরকারের কোনো উন্নয়নের ছোঁয়া পড়েনি এ ওয়ার্ডে। এলাকার মাদক, বেকারত্ব বড় সমস্যা। তাছাড়া বর্তমান কাউন্সিলর এ এলাকার বাসিন্দাই নয়।