
এম সাইফুল ইসলাম : কেসিসির ৬নং ওয়ার্ড। ওয়ার্ডটি দৌলতপুর বেবিস্ট্যান্ড, বিজিবি ১নং গেট এর উত্তর পাশ বেশবলাল রোড-বিজিবি স্কুল-পাবলা লিংক রোড-গাজির ঘটা সমদিনাবাগ মসজিদ-দিবা নৈশ কলেজ রোড-তরফদারবাড়ী- মোল্লার মোড় শের ই বাংলা স্কুল, চানের বটতলা, দাখিল মাদ্রাসা হাজীবাড়ী-ওহাব খালপাড় হয়ে বিল পাবলা। এ ওয়ার্ডে মোট জনসংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার। এবার ভোটার ১৭ হাজারের বেশি।
এই ওয়ার্ডে এবারের নির্বাচনে বর্তমান কাউন্সিলর শেখ শামসুদ্দীন আহমেদ প্রিন্স, আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ মিজানুর রহমান তরফদার, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী থাকছেন মহানগর প্রচার সম্পাদক তারিকুল ইসলাম কাবিরসহ বেশ কয়েকজন নিজেদের প্রার্থীতা ঘোষণা করেছেন। ইতোমধ্যেই জন সংযোগও শুরু করেছেন। সাধারণ মানুষকে দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি।
বর্তমান কাউন্সিলর শেখ শামসুদ্দীন আহমেদ প্রিন্স জানান, শতভাগ কাজ হয়েছে এ ওয়ার্ডে। মশক নিধন, ড্রেনেজ ব্যবস্থা এবং রাস্তাঘাটের যথেষ্ট উন্নয়ন হয়েছে। মাদক অনেকাংশ নিমূর্ল হয়েছে। ছোট ছোট কিছু বাইলেনের কাজ হয়নি। দ্রুত এসব লেনগুলোতে কাজ হবে। বর্তমানে এলাকার কবরস্থানের বাউন্ডারি এবং মাটি ভরাট করা প্রয়োজন। আগামীতে এই বিষটি দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করবো। আমি আমৃত্যু জনগণের পাশে থাকতে চাই।
আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ মিজানুর রহমান তরফদার জানান, আশা করি দল আমাকে সমর্থন দিবে। আমি কাউন্সিলর হলে এলাকার উন্নয়ন করে কেসিসিতে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চাই।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী থাকছেন মহানগর প্রচার সম্পাদক তারিকুল ইসলাম কাবির। তিনি বলেন, মশার উপদ্রব অতিষ্ঠ ওয়ার্ডবাসী, ওয়ার্ডের রাস্তাগুলো বৃষ্টি হলেই পানিতে ডুবে যায় এবং ময়লা দুর্গন্ধযুক্ত কাদা রাস্তা উঠে এসে রাস্তায় চলাচলের পরিবেশ নষ্ট হয়ে যায়। মাদক ও জলাবদ্ধতা মুক্ত আধুনিক পরিচ্ছন্ন ওয়ার্ড ও সর্বোচ্চ নাগরিক সুবিধা ও সেবা করবো। আমি ওয়ার্ড বাসীর সেবক হতে চাই।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মূল সমস্যা জলাবদ্ধতা। সামান্য বৃষ্টি হলে ওয়ার্ডের বড় সড়ক পাবলার কেশবলাল সড়ক পানিতে তলিয়ে যায়। শরীফ আমজাদ হোসেন সড়ক, সাহাপাড়া, কবির বটতলা, সবুজ সংঘ মাঠ, মোল্লার মোড়, কুন্ডুপাড়া এলাকার পানি সব কেশবলাল সড়কের নালায় এসে পড়ে। সেখান থেকে ঘুরে চলে যায় কারিকরপাড়া খালে। খালটির অবস্থা একে তো নাজুক, তার ওপর কেশবলাল সড়কের সরু নালা দিয়ে বিভিন্ন এলাকার পানি বের হতে দেরি হওয়ায় জলাবদ্ধতা দেখা হয়। বৃষ্টি হলেই রাস্তাগুলো পানিতে ডুবে যায় এবং ময়লা দুর্গন্ধযুক্ত কাদা রাস্তা উঠে এসে রাস্তায় চলাচলের পরিবেশ নষ্ট হয়ে যায়। জলাবদ্ধতার কারেণে মশার উপদ্রব অতিষ্ঠ ওয়ার্ডবাসী। ওয়ার্ডবাসীর প্রত্যাশা মাদক ও জলাবদ্ধতা মুক্ত মডেল ওয়ার্ড।
নগরীর ৬ নম্বর ওয়ার্ডের গুরুত্বপূর্ণ কারিকরপাড়া খাল। এই ওয়ার্ডসহ আশপাশের কয়েকটি ওয়ার্ডের পানি এ খালে এসে পড়ে। খালটি ময়লা-আবর্জনায় প্রায় ভরাট হয়ে গেছে। বর্জ্যের কারণে খালে পানি প্রবাহও নেই। স্থানীয়রা খালের মধ্যে সরাসরি গৃহস্থালি বর্জ্য ফেলছে। মশার প্রজনন ক্ষেত্র এখন এ খাল। ৫০-৬০ ফুট চওড়া খালটির তলদেশ সমতলে এসে দাঁড়িয়েছে। মৃতপ্রায় খালটি পুনঃখনন না হলে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে এই ওয়ার্ডেও জলাবদ্ধতা চরমে পৌছাবে।