
তালা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা ম্যানগ্রোভ হলে বুধবার সকালে ওয়াশ এসডিজি প্রকল্পের এন্ডলাইন জরিপ নিরুপণ বিষয়ক অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে জরিপকৃত এলাকার ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, স্কুল কমিউনিটি ক্লিনিক, ওয়াশ উদ্যোক্তাদের সাথে শেয়ার করা হয়। সাতক্ষীরা পৌরসভার পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ লিয়াকত আলীর সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন কলারোয়া পৌরসভার মেয়র মনিরুজ্জামান বুলবুল। হোপ ফর দ্যা পুরেস্ট এর টাউন কো-অর্ডিনেটর মৃনাল কান্তি সরকারের সঞ্চালনায় কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সহকারী সার্জন ডাঃ রাহুল দেব রায়, তালার জালালপুর ইউপি চেয়ারম্যান মফিদুল হক লিটু, খলিশখালী ইউপিপ চেয়ারম্যান সাবীর হোসেন, মোঃ জাহিদুর রহমান, প্রভাস কুমার দাস প্রমুখ। ওয়ার্কশপে মূল বিষয় উপস্থাপনা করেন সিমাভির মনিটরিং ইভাল্যুয়েশন এন্ড লার্নিং অফিসার মোঃ শামসুর রহমান। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন উত্তরণের প্রকল্প সমন্বয়কারী হাসিনা পারভীন, আমিনুল ইসলাম সোহান, প্রকল্পের স্টাফবৃন্দসহ সাতক্ষীরা জেলার ডিপিএইচই প্রতিনিধি, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের প্রতিনিধি, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, হেল্থ সেন্টারের প্রতিনিধি, সিএসও প্রতিনিধি, এমএফআই প্রতিনিধি, সাংবাদিক, ব্যবসায়ীবৃন্দ।
কর্মশালায় সিমাভি’র এন্ডলাইন ইভাল্যুয়েশনে প্রাপ্ত ফলাফলে জানানো হয়, সম্প্রতি সমাপ্ত নেদারল্যান্ড সরকারের আর্থিক সহযোগিতায় ওয়াশ এসডিজি প্রকল্পের আওতায় একটি জরিপ কার্যক্রম পরিচালিত হয়। উক্ত জরিপে দেখা যায়, সাতক্ষীরাতে উন্নত টয়লেট ব্যবহারের হার বেড়েছে। ৫৮ শতাংশ পানিতে ব্যাকটেরিয়া দুষণ পাওয়া গেছে। উন্নত টয়লেট ব্যবহারের হার বেড়েছে ৪৬ শতাংশ। কিন্তু খাবার পানিতে ই-কোলাই ব্যাকটেরিয়া দূষণ পাওয়া গেছে ৫৮% নমুনাতে এবং আর্সেনিক পাওয়া গেছে ৯ শতাংশ নমুনাতে। প্রধান উৎস থেকে জলের প্রাপ্তি/ব্যবহার বেড়েছে ৩৭ লিটার থেকে ৫৫ লিটারে। এছাড়া ওপেন ডেফিকেশন (খোলা জায়গায় মলত্যাগ) প্রায় শূন্যের ঘরে এসেছে। হাইজিন অনুশীলন বেড়েছে ৯% থেকে ৭৭% এ। উক্ত জরিপে মোট ৪৯২ খানা, ৯ স্কুল, ০৩ কমিউনিটি ক্লিনিক অংশগ্রহন করে। মোট ২৪৬ খানার পানির নমুনা পরিক্ষা করা হয় তিনটি প্যারামিটারে (আর্সেনিক, লবণাক্ততা এবং ই- কোলাই ব্যাকটেরিয়া)। সাতক্ষীরা ও কলারোয়া পৌরসভা,সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ৩টি ও তালা উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের ৪৯২ পরিবারকে এ জরীপের আওতায় নেওয়া হয়। উল্লেখ্য যে, ২০১৮ সালে প্রকল্পের শুরুতে পানি, স্যানিটেশন এবং হাইজিন সম্পর্কিত বিষয়ে জরিপ করা হয়েছিল এবং প্রকল্পের শেষে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে শেষ জরিপে উক্ত একই বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করা হয়। এতে দেখা গেছে প্রায় প্রতিটি সূচকে পানি,স্যানিটেশন এবং হাইজিন এর পরি¯ি’তি উন্নীত হয়েছে। তবে ব্যাকটেরিয়া দূষণ বেড়েছে বেইজলাইন এ ৪৬% ছিল)।