
রায়েরমহলে ১৩৪টি পরিবারের ভাগ্য বদল
জন্মভূমি রিপোর্ট : জলবায়ুর প্রভাবে নগরে স্থানান্তরিত অভিবাসী ও দরিদ্র পরিবারসমূহের অভিযোজিত জীবন-জীবিকার উন্নয়নে ছাগল পালন প্রকল্প-এর অধীনে হাইফার এপ্রোচের মাধ্যমে ছাগলপ্রাপ্ত নতুন সদস্যদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বয়রাস্থ আঞ্চলিক সমবায় ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে এর আয়োজন করা হয়।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জার্মান ফেডারেল মিনিস্ট্রি ফর ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট এন্ড কো-অপারেশন (বি এম জেড) এর যৌথ অর্থায়নে এবং বাংলাদেশ রিজিলিয়েন্ট এন্ড লাইভলিহুড প্রোগ্রামের আওতায় (জিআই জেড) এর আর্থিক সহায়তায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ওয়েভ ফাউন্ডেশন নগরীরর ১৪নং ওয়ার্ড এলাকায় রায়েরমহল ও আনছার উদ্দিন স্লামে ১৩৪টি পরিবারে এবং অন্যান্য ৫টি ওয়ার্ডের ৯টি স্লামে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে আসছে।
সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে প্রকল্পটির আওতায় রায়েরমহল এলাকার জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্থ ৫৯টি পরিবারকে ২টি করে মা ছাগল ও ছাগল পালনের জন্য মাচাসহ ছাগলের ঘর প্রদান করে। ২০২১ সালের ৪ এপ্রিল হাইফার এপ্রোচের মাধ্যমে উক্ত ৫৫টি পরিবার ১টি করে মা ছাগল নতুন ৫৫টি পরিবারকে উপহার হিসেবে প্রদান করে। এভাবে বাচ্চা প্রদানের প্রক্রিয়াকে হাইফার এপ্রোচ বলা হয়। রায়ের মহলের হাইফার এপ্রোচের ৫৫টি পরিবারের মধ্যে থেকে আনছার উদ্দিন সড়কের ২০টি নতুন পরিবারকে ব্ল্যাক বেঙ্গল মা ছাগল প্রদান করা হয়। প্রশিক্ষণে মাচা পদ্ধতিতে ছাগল রপালন, রোগব্যবস্থাপনা, খাদ্য ব্যবস্থাপনা, রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার, কিভাবে ছাগল পালন করে লাভবান হওয়াযায়- সে বিষয়ে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়াহয়।
প্রশিক্ষক ছিলেন কেসিসি’র ভেটেরিনারী সার্জন ডাঃ পেরু গোপাল বিশ্বাস এবং উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ফজলুল করিম। অনুষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে ছিলেন ওয়েভ ফাউন্ডেশনের প্রকল্প কর্মকর্তা সোহেলী সুলতানা ও ফিল্ড সুপার ভাইজার উজ্জ্বল সানা।