
কপিলমুনি প্রতিনিধি : পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনিতে নছিমন করিমন ও ইজিবাইক ¯ট্যান্ডের চাঁদাবাজি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন, খুলনা-৬, পাইকগাছা-কয়রা থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য মোঃ রশীদুজ্জামান। নির্বাচনে শপথ নেয়ার পর বিশ্বস্ত মারফত ও তার এক অনুসারির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেজবুক পেজের ওয়ালে এমন ঘোষণার বিষয়টি জানাগেছে। এতে করে কপিলমুনিসহ পার্শ^বর্তী এলাকা সমূহের প্রায় দুই থেকে তিন শতাধিক নছিমন, করিমন, আলম সাধু ও ইজিবাইক থেকে চাঁদা আদায় বন্ধ হয়ে যাওয়ার ক্ষুদ্র যানবাহন চালক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের মাঝে স্বস্তি দেখা দিয়েছে। জানাগেছে, কপিলমুনি হাসপাতাল, রবীন্দ্র হার্ডওয়ার, ফার্ষ্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক সংলগ্ন ¯ট্যান্ডে বিগত ১৫ থেকে ২০ বছর ধরে মেইন সড়কের উপর জনসম্মুখে প্রকাশ্যে হাজার হাজার টাকা চাঁদা আদায় করা হতো। অভিযোগ রয়েছে, যখন যে এ আসন থেকে সংসদ সদস্য মনোনীত হতেন তখন তার নাম ভাঙ্গিয়ে তার লোকজন এসব চাঁদা আদায় করতো। এদিকে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পূর্বে মোঃ রশীদুজ্জামান বলেছিলেন, তিনি নির্বাচিত হলে পাইকগাছা-কয়রা উপজেলার সকল দূর্নীতি বিরুদ্ধে তিনি পূর্বেও যেমন সোচ্চার ছিলেন এখনও তেমনি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পিছপা হবেন না। এরই ফলসূরতিতে তিনি নির্বাচিত হয়ে গত ১০ জানুয়ারি সকালে শপথ নেয়ার পর কপিলমুনিতে নছিমন, করিমন, আলম সাধু ও ইজিবাইক ¯ট্যান্ডে চাঁদা বন্ধের ঘোষণা দেন বলে জানাগেছে। স্থানীয়রা জানায়, ইজিবাইক ও নছিমন ¯ট্যান্ডে চাঁদাবাজির কারণে অনেকটাই অতিষ্ঠ ছিল খেটে খাওয়া ক্ষুদ্র যানবাহন চালক এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা। ফলে সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কার প্রার্থী মোঃ রশীদুজ্জামানকে রায় দেন পাইকগাছা-কয়রা উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। উক্ত বিষয়ে নছিমন, করিমন ও ইজিবাইক চালকরা জানায়, দীর্ঘদিন আমরা এই চাঁদার টাকার অত্যাচারে অতিষ্ঠ ছিলাম। চাঁদা দিতে রাজি না হলে চালককে নির্মম মানষিক অত্যাচার হতে হয়েছে। আমরা পেটের দায়ে ক্ষুদ্র ইঞ্জিন চালিত এ সব যানবাহন চালায়। আমাদের নিকট থেকে দৈনিক ও মাসিক বিভিন্ন হারে চাঁদা আদায় করা হতো। এবিষয়ে এলাকাবাসী ও সচেতন মহল মনে করেন, পাইকগাছা-কয়রার সংসদ সদস্য মোঃ রশীদুজ্জামান গরীব অসহায় মানুষের জন্য নিরলস ভাবে কাছ করে যাবেন। বিগত দিনে যারা এ সকল কর্মকান্ডে জড়িত ছিলেন এ নির্বাচনে তারা সঠিক জবাব পেয়েছেন। এ এলাকার মানুষ স্বস্তিতে থাকবে, ব্যবসা বাণিজ্য করবে, স্বাভাবিক জীবনযাপন করবে। এলাকায় সন্ত্রাস চাঁদাবাজি বন্ধ করে সমৃদ্ধ পাইকগাছা-কয়রা গড়ে তোলার লক্ষে কাজ করবেন বর্তমান এমপি। এমনটি আশা ও প্রত্যাশা করেন এলাকাবাসী ।