এডিবি’র সংশোধিত পূর্বাভাস
জন্মভূমি ডেস্ক : বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির (জিডিপি) পূর্বাভাস সংশোধন করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। সংস্থাটির মতে, সমাপ্ত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার হবে ৫ শতাংশ এবং চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছর শেষে এটি আরও কমে দাঁড়াবে ৪ দশমিক ৯ শতাংশ। এর আগে গত ২০২২-২৩ সালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছিল ৫ দশমিক ১ শতাংশ। এমন তথ্য জানিয়েছে এডিবি।
এর আগে গত এপ্রিলে সমাপ্ত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৬ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিল এডিবি। পরবর্তীতে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক জুলাই ২০২৪-এ বলা হয়েছে, শিল্পখাতের ধীর প্রবৃদ্ধির কারণে চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৬ শতাংশ থেকে কমে সাড়ে ৬ শতাংশ হতে পারে।
প্রসঙ্গত: সমাপ্ত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। এর বিপরীতে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো’র সাময়িক হিসাব অনুযায়ী, সমাপ্ত অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৮২ শতাংশ। অন্যদিকে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মূল বাজেটে জিডিপি’র প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
এডিবি বলেছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে মূল্যস্ফীতির হার আরও বাড়তে পারে। গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে বাংলাদেশে মাসিক মূল্যস্ফীতির হার দুই অংকের কাছাকাছি ছিল। দেশে খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির কারণে সামনেও তা অব্যাহত থাকতে পারে।
এদিকে সরকারি নীতি নির্ধারকদের মতে, মধ্য মেয়াদে মূল্যস্ফীতির চাপ নিয়ন্ত্রণ এবং যথাযথ মুদ্রা ও রাজস্ব নীতি গ্রহণের ফলে দেশের প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত হবে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে এলে মধ্য মেয়াদে বহিঃখাতের চলকগুলোরও ধীরে ধীরে উন্নত হবে। প্রবাস আয়ের ধারাবাহিক প্রবাহ অব্যাহত থাকলে তা ব্যক্তিগত ভোগ ব্যয় পুনরুজ্জীবিত করতে অবদান রাখবে এবং একই সঙ্গে সরকারি বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্পের বাস্তবায়নের মাধ্যমে সরকারি বিনিয়োগ বাড়বে।
মূল্যস্ফীতি প্রসঙ্গে সরকার বলছে, বর্তমানে সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হচ্ছে উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ। উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকার মুদ্রা ও রাজস্ব নীতিতে বেশ কিছু সমন্বয় সাধন করে কৌশল প্রণয়ন করেছে। কঠোর মুদ্রা ও ব্যয় সঙ্কোচন নীতি অবলম্বন করা হচ্ছে। এর ফলে সামনের দিনগুলোতে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে।