কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি : সে একজন দেহ ব্যবসায়ী পতিতা দুশ্চরিত্রবান ও প্রতারক মহিলা। ইতো পূর্বে কয়েকজনকে প্রেম ও বিয়ের ফাঁদে ফেলিয়া মোটা অংকের অর্থ নিয়ে ডিভোর্স করিয়েছে। তার প্রথম স্বামী মিন্টুর সাথে রাতে অবৈধ মেলামেশা অবস্থায় গ্রামবাসীর নিকট অপ্রীতিকর অবস্থায় ধরা খেয়ে বিয়ে করে, সেখানে একটি পুত্র সন্তান হলে তাকে ডিভোর্স করে, এরপর দুই নম্বর কয়রা মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি ও ব্যবসায়ী তিন সন্তানের জনক রুহুল আমিনকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে আপত্তিকর ছবি তুলে ব্ল্যাকমেইল করে তাকে বিয়ে করে। বিয়ের পর তাকে ভিটা মাটি ছাড়া করে ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য করে। এরপর প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক জনৈক মাহফুজ মাস্টারকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তার নিকট থেকে ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে ৪-৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে তাকে চাকুরীছাড়া করে রাঙ্গামাটি যেতে বাধ্য করে। প্রয়াত সাংবাদিক বীর মুক্তিযোদ্ধার কন্যা জনৈক্য প্রধান শিক্ষকের শিশু পুত্র কে বলাৎকারের অভিযোগ এনে থানায় মামলা করে তিন লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়।
কয়রা উপজেলা সদরের ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো: মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে ৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা গতকাল ৩০ সেপ্টেম্বর শনিবার বেলা ১১ টায় কয়রা উপজেলা প্রেসক্লাবের সামনে কয়রা বেদকাশি সড়কে মানববন্ধন কর্মসূচি শেষে উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, উপজেলা সদরের ২ নম্বর কয়রা গ্রামের বাসিন্দা দেহ ব্যবসায়ী এই রাবেয়ার অনৈতিক কর্মকান্ডের পক্ষ না নেওয়ায় সে একের পর এক মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে আমাকে হয়রানি করছে। ইউপি সদস্য হওয়ার সুবাদে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে রাবেয়ার সাথে আমার ওয়ার্ডের বাসিন্দা শফিকুল ইসলামের সালিশি বৈঠকে তার অনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় গত ৬/ ৮/২০২৩ তারিখে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত কয়রা খুলনাতে শফিকুল কে ধর্ষণকারী ও আমাকে ধর্ষণে সহায়তাকারি হিসাবে আসামি করে ৪/২৩ নং মামলা করে উক্ত মামলায় শফিকুল বর্তমানে জেল হাজতে আছে এবং আমি উচ্চ আদালত থেকে জামিনে আছি। লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন উক্ত রাবেয়া ওই মামলায় আমাকে জেলে পাঠাতে না পেরে কয়েকদিন আগে রাবেয়ার সাথে কয়রা বাজারের কিছু লোকজনের সাথে গোলযোগকে কেন্দ্র করে গত ২৭/ ৯/২০২৩ তারিখে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত কয়রা খুলনাতে একটা মামলা করে ওই মামলাতেও আমাকে আসামি করেছে। প্রকৃতপক্ষে ঘটনার সময় আমি আমার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউপি পরিষদ বর্গ সহ এনজিওদের সাথে মিটিং এর কাজে ব্যস্ত ছিলাম, আমাকে সহ অন্যদের হয়রানি করিবার উদ্দেশ্যে এই মামলার রুজু করিয়াছে। লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, রাবেয়ার পিতা তার মায়ের ৮ নম্বর স্বামী তার পিতার বর্তমানে তিন স্ত্রী একই সাথে সংসার করছে তার বড় ভাই হাসানের বর্তমানে দুটি স্ত্রী আছে ছোট বোন তিন স্বামী পরিত্যাগ করে বর্তমান গার্মেন্টস কর্মীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করেছে। রাবেয়া অশিক্ষিত গরিব পরিবারের কন্যা হলেও চালচলনে রাজ রানী তার নির্দিষ্ট কোন আয়ের উৎস না থাকিলেও পিতার বাড়িতে পাকাবাড়ি তৈরি করলেও সেখানে না থেকে কয়রা সদরের জনৈক্য সাইদের বাড়িতে থেকে তার সহযোগিতায় নিয়মিত দেহ ব্যবসা, রমরমা সুদের কারবার সহ প্রতারনা চালিয়ে যাচ্ছে । মানববন্ধনকারীরা তার প্রতারণার হাত থেকে রেহাই পেতে উদ্ধতন মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। মানববন্ধনে কয়রা সদর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নাজমুস সাদাত, ঢালী আব্দুর রশিদ, ইউনুস আলী গাজী, নাজমুন্নাহার, শরিফা খাতুন সহ দুই শতাধিক নারী পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।
কয়রায় দেহ ব্যবসায়ীর হাত থেকে রেহাই পেতে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন
Leave a comment